Advertisement
Advertisement

Breaking News

Amit Shah

‘এই কার্যকালেই এক দেশ এক নির্বাচন’, মোদি সরকারের ‘সেঞ্চুরি ডে’তে বার্তা শাহের

শুরু থেকেই এই নীতির বিরোধিতায় সরব বিরোধীরা।

One Nation One Election to be implemented within Modi 3.0, announced by Amit Shah

ফাইল ছবি।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:September 17, 2024 12:50 pm
  • Updated:September 17, 2024 12:50 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না জুটলেও বড় সিদ্ধান্ত নিতে তৈরি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। তৃতীয় মোদি সরকারের ‘সেঞ্চুরি ডে’তে এবার সেই ঘোষণা করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত ১০০ দিনে সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, মোদি সরকারের চলতি মেয়াদেই দেশে লাগু হবে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’।

গত মাসে লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি যুক্তি দেন, ঘন ঘন নির্বাচনে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে বাধা পড়ে। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, গোটা দেশ এই প্রক্রিয়াকে সমর্থনও জানাচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলগুলিকে এই বিষয়ে সমর্থন করার আহ্বানও জানান তিনি। মোদির সেই বার্তার পর জল্পনা তৈরি হয়েছিল এনডিএ সরকারের চলতি মেয়াদেই কার্যকর হবে এক দেশ এক নির্বাচন রীতি। এবার সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়ে সরকার পক্ষের দাবি, এই ব্যবস্থা চালু হলে ভোট প্রক্রিয়ার জন্য যে বিপুল অঙ্কের খরচ হয়ে থাকে, তা অনেকটাই কমে যাবে।

Advertisement

এদিকে এই পদ্ধতি লাগু করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে সরকার। ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’-এর বাস্তবতা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্র। গত মার্চ মাসে সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ওই কমিটি ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’-এর পক্ষে সায় দিয়েছে বলেই খবর। যদিও বিরোধী দলগুলি শুরু থেকেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর বিরোধিতা করে এসেছে। বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেছেন, এই নীতি ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রের পরিপন্থী।

কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ বিজেপি-বিরোধী দলগুলির আশঙ্কা, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সাংসদ এবং বিধায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে বিভিন্ন ফলাফল দেখা যায়, সেই বৈচিত্র বিনষ্ট হবে। এই সুযোগ কাজে লাগাবে বিজেপির মতো অর্থনৈতিক ভাবে প্রবল শক্তিশালী দল। তাদের প্রচারের ঢেউয়ে ভেসে যাবে তুলনায় ছোট আঞ্চলিক দলগুলি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement