Advertisement
Advertisement
One Nation One Election

এক দেশ, এক ভোট: কল্যাণ ও সাকেতকে জেপিসিতে পাঠাচ্ছে তৃণমূল

যৌথ সংসদীয় কমিটিতে এই বিলের বিরোধিতায় যুক্তি পেশ করবেন এই দুই সাংসদ।

One Nation One Election: TMC nominates Kalyan Banerjee and Saket Gokhale to the JPC
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:December 18, 2024 12:56 pm
  • Updated:December 18, 2024 2:18 pm  

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সংসদের যৌথ কমিটিতে (জেপিসি) দুই সদস্যের নাম চূড়ান্ত করল তৃণমূল। বুধবার তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলেকে এই কমিটির সদস্য হিসেবে পাঠানো হবে। যৌথ সংসদীয় কমিটিতে এই বিলের বিরোধিতায় যুক্তি পেশ করবেন এই দুই সাংসদ।

বিরোধীদের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও সরকার পক্ষে বেশি ভোট পড়ায় মঙ্গলবার সংসদে পেশ হয়েছে ‘এক দেশ, এক ভোট’ (One Nation One Election) বিল। যদিও এখনই বিল পাশ করানো পথে না হেঁটে তা পাঠানো হয়েছে সংসদের যৌথ কমিটিতে (জেপিসি)। এদিকে শুক্রবার শেষ হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে দ্রুত কমিটি গঠন করতে রাজনৈতিক দলগুলিকে সদস্যের নাম প্রস্তাবের নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা। সেই মতোই তৃণমূলের তরফে এই কমিটির জন্য দুই সদস্যের নাম চূড়ান্ত করা হল। বুধবার তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, জেপিসিতে এই বিলের বিরোধিতায় সোচ্চার হবেন লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে।

Advertisement

জেপিসির নিয়ম অনুযায়ী এখানে সর্বাধিক ৩১ জন সদস্য থাকতে পারেন, যার মধ্যে ২১ জন লোকসভার ও বাকি রাজ্যসভার সদস্য। এমনিতে এই সংসদীয় কমিটির মেয়াদ ৯০ দিন। তবে প্রয়োজনে তা বাড়ানো হতে পারে। এই কমিটি বিচার করবে ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত দুটি বিলে কোথাও কোনও সংশোধন বা সংযোজনের প্রয়োজন রয়েছে কিনা। এর পর বিল দুটি পেশ হবে লোকসভায়। সেখানে পাশ হলে, রাজ্যসভা হয়ে বিল দুটি যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতির শিলমোহরের পরই আইনে পরিণত হবে বিলটি। তবে লোকসভা হোক বা রাজ্যসভা বিলটি পাশ করাতে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন মোদি সরকারের। যা কোনও কক্ষেই সরকারের কাছে নেই।

উল্লেখ্য, ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে মঙ্গলবার সংসদে আলোচনা সভায় বিলের তীব্র বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, “এই বিল সংবিধানের মূল কাঠামোর উপর আঘাত। এবং যে বিল সংবিধানের মূল কাঠামোর উপর আঘাত আনে তা ভাইরাসসম। সংবিধানে ৮৩ (৫) ধারা ও ৮৩ (২) ধারা পরস্পর বিরোধী। এই দুটো ধারাকে একত্রে মেলানো যায় না। বিধানসভায় রাজ্যের জনতার রায়ে সরকার গঠিত হয়। লোকসভাতেও বিষয়টি একই। ফলে ৮৩ (৩) ধারা অনুযায়ী মেয়াদ শেষের আগে কোনও সরকারকে ভেঙে দেওয়া যায় না। এটা বেআইনি। লোকসভা ও বিধানসভার স্বতন্ত্র, এক দেশ এক ভোটের নামে তা ভেঙে দেওয়ার এই পরিকল্পনা ঠিক নয়। ৮২ (৫) ধারা অনুযায়ী নির্বাচন চলাকালীন গোটা দেশের শাসনভার চলে যাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে। যা বিপদের কারণ হতে পারে। যেভাবে চলছে তাতে সমস্যা কোথায়? কেন জোর করে এমন আইন আনা হচ্ছে?” সুর চড়িয়ে কল্যাণ আরও বলেন, “এই আইন নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংশোধনী নয়। এটা আসলে একজন ব্যক্তির স্বার্থ চরিতার্থ করার পন্থা। তাঁর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যেই আনা হচ্ছে এই ভাইরাস আইন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement