সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মযুদ্ধে নামুন। ভোট জিহাদ রুখে দিতে হবে। মহারাষ্ট্রে প্রকাশ্যেই হিন্দু ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। তিনি বলছেন, কংগ্রেস এবং মহা বিকাশ আঘাড়ি প্রকাশ্যে ইসলামিক উলেমা সংগঠনের সাহায্য নিচ্ছে। বিরোধীরা ‘ভোট জিহাদ’ চাইছে। সেটা রুখতে ধর্মযুদ্ধে নামতে হবে হিন্দুদেরও।
মহারাষ্ট্রের নির্বাচনকে পুরোপুরি হিন্দু বনাম মুসলমান লড়াই হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে বিজেপি। বেশ কিছুদিন ধরেই এই অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। আসলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে জাতগণনার দাবি তুলে মহারাষ্ট্রে বিজেপির ‘হিন্দুত্ব’ ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরাতে পেরেছিল কংগ্রেস। অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল সংঘ তথা বিজেপির হিন্দু ঐক্যের ডাক। লোকসভা ভোটের আগে ফের সেই হিন্দু ঐক্যকে পুনরুত্থান করতে মরিয়া বিজেপি। সেই লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে ‘ স্লোগানকে হাতিয়ার করছে গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ স্লোগানও ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফড়ণবিস এবার সরাসরি সেই হিন্দুত্বের লাইনেই খেলছেন। তার সাফ কথা, “ভোট আসবে, ভোট যাবে। কিন্তু কংগ্রেস-শিব সেনা ইউবিটি যে তোষণ শুরু করেছে সেটা বন্ধ করতে হবে। মনে রাখবেন উলেমা কাউন্সিল ওদের কাছে ১৭ দফা দাবি পেশ করেছে। তার মধ্যে রয়েছে মুসলিমদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ, ২০১২ দাঙ্গায় অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া। মহা বিকাশ আঘাড়ি লিখিতভাবে সেই দাবি মানার আশ্বাসও দিয়েছে। রাজ্যে আরও একটি ‘ভোট জিহাদ’ হতে চলেছে। আমাদের ধর্মযুদ্ধে নামতে হবে। এক হ্যায়, তো সেফ হ্যায়।”
এর পালটা এসেছে বিরোধী শিবির থেকেও। শিব সেনা ইউবিটি নেতা সঞ্জয় রাউত বলছেন, “মহারাষ্ট্রে একটাই ধর্ম। সেটা ছত্রপতি শিবাজীর ধর্ম। আপনারা সেই ধর্মের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। ভোটে হার নিশ্চিত জেনেই ওরা এখন ধর্মযুদ্ধের কথা বলছেন। কত কত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আসলে আপনি ধর্মদ্রোহী।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.