নিজস্ব চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম দফার ভোটের (Lok Sabha 2024) পরই ঘাবড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার হয়তো প্রকাশ্য মঞ্চেই কান্নাকাটি শুরু করবেন তিনি। কর্নাটকের সভা থেকে মোদিকে কটাক্ষের তির রাহুল গান্ধীর। কংগ্রেস নেতার দাবি, মোদি ঘাবড়ে গিয়েই দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
বস্তুত, প্রথম দফার ভোটের পর সত্যিই বদলে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হাবভাব। এখন আর তিনি ‘বিকশিত ভারতে’র কথা বলেন না। ভারতকে উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখানো, দেশের আর্থিক উন্নতি, সরকারি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প, এসব মোদির ভাষণে গৌণ। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে এখন মুখ্য ভূমিকায় ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা। মোদি কখনও বলছেন, কংগ্রেসের ইস্তেহারে মুসলিম লিগের ছায়া। কখনও বলছেন, কংগ্রেস দেশের মা-বোনেদের সম্পদ অনুপ্রবেশকারী, মুসলিমদের দিয়ে দেবে। আবার কখনও বলছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের গচ্ছিত সম্পত্তিও অধিগ্রহণ করবে।
রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) দাবি, মোদি ভাষণ শুনেই বোঝা যাচ্ছে, তিনি ভীষণ ‘নার্ভাস’। ঘাবড়ে গিয়েছেন। এর পর হয়তো ভোটপ্রচারের মঞ্চে গিয়ে প্রকাশ্যে কেঁদেও ফেলবেন। কংগ্রেস নেতা কর্নাটকের বিজয়পুরার এক সভায় রাহুল বলেন, “আজকাল মোদিকে ভাষণ দেওয়ার সময় ভীষণ নার্ভাস দেখাচ্ছে। হয়তো আর কিছুদিন গেলে মঞ্চে উঠে কান্নাকাটি করবেন তিনি।” রাহুলের দাবি, “মোদি কখনও পাকিস্তান নিয়ে কথা বলবেন, কখনও চিন নিয়ে বলবেন, কখনও থালি বাজাতে বলবেন, কখনও মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালাতে বলবেন…।”
রাহুলের দাবি, “লোকসভা ভোটে দেশের সবচেয়ে বড় ইস্যু গরিবি, বেকারি, মুদ্রাস্ফীতি আর অংশীদারিত্ব। কংগ্রেসই (Congress) পারে মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব সামলাতে। গোটা যুবসমাজকে শক্তিশালী করতে।” রাহুলের বক্তব্য, “মোদি গরিব মানুষের টাকা দিয়ে দিচ্ছেন শিল্পপতি বন্ধুকে। ২২ জন শিল্পপতির হাতে আজ ৭০ কোটি মানুষের সমান সম্পদ। কংগ্রেস পার্টি সম্পদে সকলের অংশীদারিত্ব সুনিশ্চিত করবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.