Advertisement
Advertisement
HMPV Virus in India

দেশে HMPV আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭, ‘নতুন ভাইরাস নয়’, দুশ্চিন্তা ঘোচাতে বার্তা নাড্ডার

মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের বয়স যথাক্রমে ৭ এবং ১৩ বছর।

HMPV Virus in India: Cases risen to 7 in India, JP Nadda says not new virus
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:January 7, 2025 9:30 am
  • Updated:January 7, 2025 2:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে বাড়ছে HMPVর দাপট। মঙ্গলবার নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরও দুজন। মহারাষ্ট্রে দুই আক্রান্তের বয়স যথাক্রমে ৭ এবং ১৩ বছর। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এইচএমপিভি নতুন ভাইরাস নয়।

সোমবার কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং গুজরাটে মোট পাঁচ শিশুর দেহে ভয় ধরানো ভাইরাসের হদিশ মিলেছিল। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে দুজনের দেহে পাওয়া যায় এইচএমপিভি। জ্বর এবং সর্দিতে ভুগছিল তারা। নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে তাদের দেহে এইচএমপিভি মেলে। তার জেরেই ফের নতুন করে আতঙ্ক বাড়ছে। প্রাথমিকভাবে বিশেষজ্ঞদের মত ছিল, ৫ বছরের কম বয়সিরাই কাবু হয় এই ভাইরাসে। কিন্তু ৭ এবং ১৩ বছর বয়সিদের দেহে এইচএমপিভি মেলায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা।

Advertisement

যদিও এহেন পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে দুশ্চিন্তা করতে বারণ করছেন নাড্ডা। একটি ভিডিও বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে এইচএমপিভি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। ২০০১ সালে প্রথমবার এই ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। তারপর থেকে গোটা বিশ্বেই রয়েছে এই ভাইরাস। যেহেতু এই ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়, তাই যেকোনও বয়সের ব্যক্তিই আক্রান্ত হতে পারেন। শীতকালে এবং বসন্তের শুরুতে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেশি হয়।” নাড্ডা মনে করিয়ে দিয়েছেন, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যদি হঠাৎ করে খুব বেড়ে যায়, তাহলেও সামাল দেওয়ার জন্য তৈরি আছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। 

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই করোনা সংক্রমণের ভয়ংকর দিনগুলির কথা মনে করাচ্ছে নয়া হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস অর্থাৎ এইচএমপিভি। করোনার শুরুর দিনগুলির সঙ্গে সাদৃশ্য খোঁজার চেষ্টা করছেন অনেকেই। কেননা সেবারও চিনে শুরু হয়েছে সংক্রমণ। তারপর সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। তার মধ্যে ভারতও ছিল। যদিও এদেশে সন্ধান মেলা ভাইরাসগুলি চিনা প্রজাতির নয়, তবুও অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন, হয়তো এবার এখানেও হু হু করে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। আর তাই তা নিয়ন্ত্রণ করতে লকডাউনের পথে হাঁটতে হতে পারে। যদিও কেন্দ্রের তরফে বারবার বলা হয়েছে, দেশবাসী যেন অযথা আতঙ্কিত না হন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement