প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরু, দিল্লির পর গুজরাট। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে ‘আত্মঘাতী’ যুবক। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের বোতাড় জেলায়। ঘটনায় যুবকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৩৯ বয়সি সুরেশ সতদিয়ার। কী কারণে আত্মহত্যা তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। পরে গত শুক্রবার স্থানীয় থানায় পুত্রবধূর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ জানান সুরেশের বাবা। তাঁদের দাবি, পুত্রের মোবাইলে তাঁরা একটি ভিডিও পেয়েছেন যেখানে আত্মহত্যার জন্য স্ত্রীকে দায়ী করেছেন তিনি। পরিবারের দাবি, ভিডিওটিতে সুরেশ বলেছেন, “আমার মৃত্যুর জন্যে স্ত্রী যেন কড়া শাস্তি পায়।” এই ভিডিওটি নিজের মোবাইলেই রেখেছিলেন যুবক। কাউকে পাঠাননি বলে জানা গিয়েছে। ফোন খুলে সেই ভিডিও দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। তারপরই থানায় অভিযোগ জানান তাঁরা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকে ছেলের সংসারে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। সম্প্রতি, ঝামেলার জেরে তাঁর স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে যান। তাঁকে ফিরিয়ে আনতে যান যুবক। সেখানেও একদফা ঝগড়া হয় তাঁদের। স্ত্রী সুরেশের বাড়িতে আসতে রাজি হননি। পরে বাড়িতে এসে যুবক ‘আত্মঘাতী’ হন।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সুরেশের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুসারে ১০৮ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের দেহ উদ্ধার হয় তাঁর ফ্ল্যাট থেকে। মৃত্যুর আগে স্ত্রী, বিরুদ্ধে মানসিক হেনস্তা অভিযোগ তুলে একটি ভিডিও তৈরি করেন তিনি। ঘটনায় স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্যালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর একই ঘটনা ঘটে দিল্লিতে। এক ক্যাফে মালিক পুনীত খুরানাও স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা করেন। এবার সামনে এল গুজরাটের সুরেশের ঘটনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.