বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: জোট রাজনীতিতে তিনি যে সেতুবন্ধনের কাজটি করতেন শেষ যাত্রাতে তা আরও স্পষ্ট হল। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এনডি জোট সরকারের শরিক থেকে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের শরিকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব সকলেই হাজির হলেন সীতারাম ইয়েচুরিকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে। সোনিয়া গান্ধী থেকে জেপি নাড্ডা, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু থেকে ডিএমকের টিআর বালু বা দয়ানিধি মারান। জোড়হাতে ফুল দিয়ে শেষ বিদায় জানালেন ইয়েচুরিকে। শেষে আন্তর্জাতিক গানের মধ্য দিয়ে এইমস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে ফাইটারের মরদেহ তুলে দিলেন সতীর্থ কমরেডরা।
শনিবার সকাল থেকেই সিপিএমের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এ কে গোপালন ভবনের সামনে ছিল থিকথিকে ভিড়। কার্যত তিল ধারণের জায়গা ছিল না। কার্যালয়ের সামনে লাল শালুতে মোড়া কফিনবন্দি সীতারামের দেহ। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রকাশ কারাট, বৃন্দা কারাট, পিনারায় বিজয়ন, মানিক সরকার, বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, এম এ বেবিরা। প্রথমেই এসে নামলেন সোনিয়া গান্ধী। শ্রদ্ধা জানালেন সীতারামকে। এর পরই জড়িয়ে ধরলেন ইয়েচুরির স্ত্রী সীমা চিশতীকে। তার আগেই অবশ্য কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন পি চিদম্বরম, জয়রাম রমেশ, অজয় মাকেন, রাজীব শুক্লারা। তখনই রাস্তার ধারে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে কয়েক হাজার মানুষ। শুক্রবার রাতেই বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু।
এদিন গেরুয়া শিবিরের তরফে হাজির হন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। আম আদমি পার্টির তরফে আসেন মনীশ সিসোদিয়া ও জেডিইউ এর সাংসদ মনোজ ঝা। শ্রদ্ধা জানিয়ে যান মহারাষ্ট্রের স্ট্রংম্যান এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। আসেন আইনজীবী ও সাংসদ কপিল সিব্বল। শেষশ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের ধর্মগুরু থেকে বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা। তবে এর মধ্যেও দলের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হতে পারেন তা নিয়েও আলোচনা চলছিল। বৃন্দা কারাত বা এম এ বেবীর পাশাপাশি নাম উঠে এসেছে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের। তিনিও সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বলে জানান পার্টির এক শীর্ষনেতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.