ছবি: প্রণব সরকার।
বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: বাংলার আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে বিজেপি নেতারা চিল-চিৎকার জুড়লেও সহমত পোষণ করল না দলের কেন্দ্রীয় সত্যানুসন্ধান কমিটি। তাই রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির উল্লেখ করা হয়নি বলে সূত্রের খবর। তবে দলের কর্মীরা ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হয়েছেন, তা উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নির্দেশে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সাংসদ বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে ৪ সদস্যর কেন্দ্রীয় দল ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যায় বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। শুক্রবার এই দলের তরফে নাড্ডার কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়।
কথায় কথায় কেন্দ্রীয় দল পাঠানো বিজেপি (BJP) রেওয়াজে পরিণত করেছে, এমনই অভিযোগ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। লোকসভা ভোট (2024 Lok Sabha Polls) মিটতেই দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর রাজ্যের শাসকদল অত্যাচার চালাচ্ছে বলে বঙ্গ বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। প্রতিদিন তথ্য সহকারে দিল্লিতে তা পাঠাতে থাকেন এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা। এর পরই কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। বিপ্লব দেব, রবিশঙ্কর প্রসাদরা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। আক্রান্তদের সঙ্গে কথাও বলেন। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোথাও বাধা দেওয়া না হলেও ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ফলতায় দলেরই কর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় দলকে। ওঠে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ।
কেন্দ্রীয় দলকে ঘুরিয়ে দেখানোর দায়িত্বে থাকা বিধায়ক অগ্নিমাত্রা পাল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মদত দিচ্ছেন এই অভিযোগ বিপ্লব দেবদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় দলেরই কর্মীরা। তার জেরে ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাসকে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। শোকজ চিঠি দেওয়া হয়। পালটা দলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ করেন তিনি।
তবে নাড্ডার কাছে পেশ করা রিপোর্টে গুরুতর এই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রিপোর্টে বঙ্গ নেতাদের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার (Inactive) অভিযোগ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রিপোর্টে দলের নেতাদের যতখানি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার প্রয়োজন ছিল বা আক্রান্তের পাশে থাকার প্রয়োজন ছিল, সেই সক্রিয়তা দেখা যায়নি। রাজ্য নেতাদের সাহায্য পাননি বলেও অভিযোগ করেছেন ঘরছাড়াদের একাংশ। তবে রিপোর্ট নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি কেন্দ্রীয় সত্যানুসন্ধান দলের (Fact finding team) সদস্যরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.