সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ইডি-র ক্ষমতায় রাশ টানল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, আর্থিক তছরুপের মামলায় বিশেষ আদালত হস্তক্ষেপ করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না ইডি (Enforcement Directorate)। বিশেষ আদালতে বিচারাধীনকে হেফাজতে নিতে হলে অনুমতি লাগবে। তার পরই আটক বা গ্রেপ্তারির প্রশ্ন উঠবে। এক্ষেত্রে পিএমএলএ-র ৪৫ নম্বর ধারার শর্ত কার্যকরী হবে না বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
বিরোধীদের জব্দ করতে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে মোদি সরকার। দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ করে আসছে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ-সহ বিরোধী দলগুলি। লোকসভা ভোটের মুখে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির পর বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে ইন্ডিয়া জোট। অপরপক্ষে শাসক দলের দাবি, তদন্ত সংস্থাগুলি স্বাধীন ভাবে নিজেদের কাজ করছে। বিরোধীরা দুর্নীতিগ্রস্ত বলেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন। এহেন বিতর্কের মধ্যে ইডির ক্ষমতায় রাশ টানল সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ‘‘যদি এক জন অভিযুক্ত সমনে সাড়া দিয়ে আদালতে হাজির হন, তবে তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য ইডিকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করতে হবে।” আদালতের অনুমতি ছাড়া হাজিরা দেওয়া অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া যাবে না। এমনকী বিচারপতিরা জানান, পিএমএলএ মামলার ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, অভিযুক্ত সমন পেয়ে সময় মতো হাজির দিলে আলাদা করে জামিনের আবেদনেরও প্রয়োজন নেই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে কার্যকরী হয় সংশোধিত পিএমএলএ আইন। এই আইন ইডির হাতে যথেচ্ছ ক্ষমতা তুলে দেওয়ার অভিযোগ ছিল। সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পিএমএলএ-র ৪৫ নম্বর ধারার জোড়া শর্ত। যার একটি হল পিএমএলএ মামলার অভিযুক্তকে আদালতে জামিনের আবেদন করতে হলে সরকারি আইনজীবীর সম্মতি প্রয়োজন। শীর্ষ আদালতের বৃহস্পতিবারের নির্দেশের জেরে কমজোরি হল ইডির এই অতিরিক্ত ক্ষমতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.