নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: এনআইএ, সিবিআই, ইডি এবং আয়কর দপ্তরের ডিরেক্টর এখনই বদল করুক কমিশন। এই দাবিতে সোমবার বিকেলে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সামনে ধরনায় বসেন তৃণমূলের ১০ সদস্য। ২৪ ঘণ্টার জন্য তাঁরা শান্তিপূর্ণ ধরনা দেবেন বলে খবর ছিল। কিন্তু ধরনার বসার মিনিট পনেরোর মধ্যে দিল্লি পুলিশ তাঁদের তুলে দেয়। অভিযোগ, তৃণমূল সাংসদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে। আটক করা হয় সাংসদদের। বাসে চাপিয়ে তাদের মন্দিরমার্গ থানায় নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত ৬ মার্চ। ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে নেমে ২ তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। রাতেই অভিযুক্তদের বাড়িতে হানা দিয়েছিল তদন্তকারীরা। গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পথে তদন্তকারীদের পথ আটকায় স্থানীয়রা। গাড়ির কাঁচ ভাঙে। এক আধিকারিকের মাথাও ফাটে। যদিও তৃণমূলের পালটা অভিযোগ, তদন্তকারীরা রাতে মহিলাদের হেনস্তা করছিলেন। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। ভোটের আগে তৃণমূল এজেন্টদের গ্রেপ্তার করাচ্ছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে ৪ কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাথাদের অপসারণ চেয়ে এদিন কমিশনের দ্বারস্থ হন ডেরেক-শান্তনু-দোলারা। কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে তাঁদের ১০-১৫ মিনিট কথাও হয়। এর পর বাইরে বেরিয়ে ২৪ ঘণ্টার ধরনা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন দোলা সেন।
হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধরনা শুরু করেন তৃণমূলের ১০ সদস্য। প্ল্যাকার্ডে লেখা, এনআইএ, সিবিআই, ইডি এবং আয়কর দপ্তরের ডিরেক্টরের বদল চাই। এর ১৫ মিনিটের মধ্যে দিল্লি পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। প্রথমে বুঝিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে তৃণমূল সদস্যদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তোলা হয় দুটি বাসে। সূত্রের দাবি, তাদের মন্দিরমার্গ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যখন তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই সময় কেন্দ্রী বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন বিদায়ী সাংসদরা।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন জানান, কৃষিভবনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল আজ। আমরা তো বলেছি, দেশজুড়ে জমিদারি রাজ চলছে। এদিন সেটাই আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.