ফাইল ছবি।
বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী খোঁজার পাশাপাশি, ২২ আসনে হারের কারণ খুঁজতে বৈঠকে বসল গেরুয়া শিবির। মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য প্রাথমিকভাবে চারটি নাম বাছা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরলে মুখ্যমন্ত্রীর নামে চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়া হবে।
বুধবার রাতে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা ও বিএল সন্তোষের উপস্থিতিতে বৈঠকে বসে বিজেপির দিল্লি রাজ্য কমিটি। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আসনে জয় এলেও হিন্দু এলাকায় কেন পরাজয় তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভোট ঘোষণার পর এবারও দিল্লি জয় আসবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। এমনকি সংশয় প্রকাশ করে রিপোর্ট দেয় সংঘ পরিবারও। পার্টির ভুল রণকৌশলের জন্যই আম আদমি পার্টি এগিয়ে রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। এরপরই তিন তিনবার ইস্তেহার প্রকাশ করে একের পর এক জনমুখী প্রকল্প ঘোষণা করে পদ্মপক্ষ। পাশাপাশি দুর্নীতি নিয়ে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে চলতে থাকে প্রচার। বিশেষ করে প্রচারে শিশমহলকে সামনের সারিতে নিয়ে আসা হয়। একের পর এক ভিডিও প্রকাশ করা হয়। কেজরিওয়ালের সাদামাঠা জীবনযাপন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে সংশয় তৈরি করতে সফল হয় বিজেপি। এছাড়াও প্রচারে ময়দানে নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেজরির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তোলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়।
গোপনে প্রচারে নামে সংঘ বাহিনী। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় বাড়ি বাড়ি হাজির হন সংঘের প্রচারকরা। বিজেপি জিতলে দিল্লিবাসীর জন্য মোদি কি করবেন তা নিয়ে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যান। সূত্রের খবর, মোদির পাশাপাশি সংঘের প্রচারে মানুষের মন ঘুরতে শুরু করে বলে এদিনের বৈঠকে স্বীকার করেন দিল্লি বিজেপির সভাপতি দেবেন্দ্র সচদেবা। সংঘের প্রচারের পরও কেন হিন্দু অধ্যুষিত তিলকপুরি, কালকাজির মতো একাধিক এলাকায় দলীয় প্রার্থীরা জিততে পারলেন না, তা নিয়ে দিল্লি রাজ্য কমিটিকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন নাড্ডা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.