সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়ানড়ে মৃতের সংখ্যা ৩০০ পেরিয়ে গেল। জানা গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কেউ জীবিত আছেন কিনা সেটা খুঁজে দেখার জন্য ব্যবহার করা হবে বিশেষ রাডার। এই রাডারে রয়েছে ড্রোন। যদিও বৃহস্পতিবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দাবি, ধ্বংসস্তূপে আর কারোর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। তবুও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে যৌথ বাহিনী। তার মধ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে বৃষ্টি।
শুক্রবার সকালে জানা গিয়েছে, আপাতত ৩০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ভয়াবহ ভূমিধসে। গত মঙ্গলবারের এই ঘটনার পর টানা চারদিন ধরে চলছে উদ্ধারকাজ। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টির কারণে কাজ করতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা। নৌসেনার সঙ্গে মিলিতভাবে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে উপকূলরক্ষা বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা এবং বায়ুসেনাও। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টি এবং ধসের কারণে ওয়ানড়ের (Wayanad) একাধিক সেতু এবং রাস্তা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ফলে বিপদগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পৌঁছতেই পারছেন না উদ্ধারকারীরা।
এহেন পরিস্থিতিতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বৃহস্পতিবার দাবি করেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত কাউকেই আর উদ্ধার করা বাকি নেই। এখন কাজ কেবলই দেহ উদ্ধার। তবে এরই মধ্যে স্বস্তির খবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুরামালা ও মুন্ডাক্কাই গ্রামের মধ্যে বেইলি ব্রিজটি বানিয়ে ফেলেছে সেনা। এবার ওই পথে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে যেতে পারবে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনও কেউ জীবিত রয়েছেন কিনা, সন্ধান চালাতে ব্যবহৃত হবে বিশেষ রাডার। ড্রোনের মাধ্যমে খুঁজে দেখা হবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও কেউ বেঁচে রয়েছেন কিনা। কিন্তু সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন অনেকে। এহেন পরিস্থিতিতে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে বৃষ্টি। গোটা ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হতে পারে বলেই অনুমান। কারণ কাদামাটি সরাতেই উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.