সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের ভোটের মুখে শরিকি অসন্তোষে অস্বস্তিতে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রের আসনরফা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলেছে। কংগ্রেস এবং উদ্ধব সেনার বিবাদ পুরোপুরি মেটেনি এখনও। এরই মধ্যে অস্বস্তির নয়া কারণ হয়ে দাঁড়াল ইন্ডিয়া জোটের আরেক সঙ্গী সিপিআই। ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রে দাবিমতো আসন না পেয়ে কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা।
একদিন আগেই মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক রমেশ চেন্নিথালা দাবি করেছিলেন, মহা বিকাশ আঘাড়িতে সব ঠিকঠাক চলছে। সব সঙ্গীদের সঙ্গে সমন্বয় করে বিবাদ মিটিয়ে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে ‘মহাজুটি’তে বিজেপি জোটসঙ্গীদের দমিয়ে রেখেছে। ওখানে বিজেপি যা বলে শুধু তাই হয়। কিন্তু বর্ষীয়ান নেতার ওই বক্তব্যের বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেসেরই ‘বিশ্বস্ত’ সঙ্গী সিপিআই।
দলের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলছেন, “এভাবে বিজেপিকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে কংগ্রেসের উচিত নিজেদের দিকে তাকানো। কীভাবে ভোটের কৌশল সাজাচ্ছে কংগ্রেস? অন্য জোটসঙ্গীদের সঙ্গে কীভাবে আলোচনা করছে আসনরফা নিয়ে?” ডি রাজার বক্তব্য, “ইন্ডিয়া ব্লকের দলগুলির পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস তৈরি হওয়া উচিত। আমাদের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। সেই লক্ষ্যেই আসন সমঝোতা হওয়া উচিত।” সিপিআই নেতার প্রশ্ন, “মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস কি সেটা করছে?”
আসলে সেই হরিয়ানার ভোট থেকেই কংগ্রেসের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট সিপিআই। হরিয়ানায় প্রতিশ্রুতি দিয়েও সিপিআইকে কোনও আসন ছাড়েনি হাত শিবির। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে। মহারাষ্ট্রেও সিপিআই দুটি আসনে প্রার্থী দিতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁদের জন্য ছাড়া হয়েছে একটি আসন। তাতেই বামপন্থী দলটির এই অসন্তোষ। বিশ্বস্ত জোটসঙ্গী প্রকাশ্যে এভাবে মুখ খোলায় মহারাষ্ট্রের ভোটের মুখে খানিকটা হলেও অস্বস্তিতে কংগ্রেস।
বস্তুত, বাম দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কের যে অবনতি হচ্ছে, সে ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। সদ্য বাংলা-সহ কয়েকটি রাজ্যে যে উপনির্বাচন হয়েছে, তাতে কংগ্রেসের হাত ধরেনি বামেরা। সাম্প্রতিক অতীতে প্রায় সব নির্বাচনে এ রাজ্যে বাম-কংগ্রেস হাত ধরাধরি করে লড়লেও এবারের উপনির্বাচনে কোনওরকম জোট হয়নি। বামেরা আপাতত বৃহত্তর বাম ঐক্যে নজর দিচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.