সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম মানার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মৃদু উপসর্গযুক্তদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে সতর্কতামূলকভাবে আক্রান্তকে বেশ কিছু নিয়ম মানাও প্রয়োজন। কিন্তু সেই নিয়মই নাকি মানছেন না খোদ মুখ্যমন্ত্রী। গোয়ার প্রশাসনিক প্রধানের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগে সরব কংগ্রেস। প্রমোদ সাওয়ান্ত গ্লাভস (Gloves) ছাড়াই কেন ফাইলে হাত দিচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে তারা।
গত ২ সেপ্টেম্বর করোনা আক্রান্ত হন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত (Pramod Sawant)। তিনি নিজেই টুইটে দুঃসংবাদটি জানান। তিনি টুইটে লেখেন, “আমি করোনা সংক্রমিত। তবে আমার কোনও উপসর্গই নেই। তাই আপাতত হোম আইসোলেশনেই থাকতে হবে। বাড়িতে বসেই আমি সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করব। যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের বলব প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিন।”
যেমন কথা, তেমন কাজ। করোনা সংক্রমণের পরেও কাজ থেকে বিরতি নেননি গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন তিনি কাজ করে চলেছেন। শুক্রবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়। গোয়ার প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) সভাপতি গিরিশ চোড়ানকর মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের ওই ছবিটিই টুইট করেন। ওই ছবিটিতে দেখা গিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের কাজ সারছেন তিনি। তাঁর মুখে মাস্ক রয়েছে। তবে তাঁর হাতে নেই গ্লাভস। কংগ্রেস নেতার দাবি, ওই ফাইলে পরবর্তীকালে কেউ হাত দিলেই ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। কেন একজন মুখ্যমন্ত্রী যথোপযুক্ত সতর্কতা ছাড়াই এমন কাজ করছেন, সেই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি।
While doing photo op for @goacm tweet claiming that CM is working despite testing COVID +Ve @DrPramodPSawant is spreading d virus further through d files, which is handles without using gloves. No wonder, if Govt officers & staff using these files gets infected with virus pic.twitter.com/1zISqLZZxU
— Girish Chodankar (@girishgoa) September 4, 2020
ছবি ভাইরাল হওয়ার পরেই অস্বস্তিতে পড়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। তাই তড়িঘড়ি রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে সমস্ত ফাইলে মুখ্যমন্ত্রী হাত দিয়েছেন, সেগুলি জীবাণুমুক্ত করার পরই অন্য কেউ হাত দেবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.