Advertisement
Advertisement
Wayanad

শাহর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ কংগ্রেসের, ওয়ানড় নিয়ে দাবি করে অস্বস্তিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

শাহর দাবি ছিল, কেন্দ্র আগেই সতর্ক করেছিল কেরল সরকারকে।

Congress moves privilege motion against Amit Shah over Wayanad landslides' claim

ফাইল ছবি।

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:August 2, 2024 8:17 pm
  • Updated:August 2, 2024 8:17 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়ানড়ের ধস নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দাবির প্রতিবাদ করে তাঁর স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনল কংগ্রেস (Congress)। হাত শিবিরের সাংসদ জয়রাম রমেশ শাহর বিরুদ্ধে নোটিস দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যসভাকে বিভ্রান্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ঠিক কী অভিযোগ শাহর বিরুদ্ধে? নোটিসে লেখা হয়েছে ‘এটা পরিষ্কার যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যসভাকে বিভ্রান্ত করেছেন তাঁর জোরালো মন্তব্যে, যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন কেন্দ্র আগেই সতর্ক করেছিল ওয়ানড় নিয়ে, তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। একজন মন্ত্রী বা সদস্য এভাবে বিভ্রান্ত করলে কক্ষের অবমাননা হয় ও স্বাধিকার ভঙ্গ হয়।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৩ UPSC পড়ুয়ার মৃত্যু, দিল্লি কোচিং সেন্টার কাণ্ডে এবার সিবিআই তদন্ত]

কী বলেছিলেন শাহ (Amit Shah)? গত বুধবার, ৩১ জুলাই রাজ্যসভায় অমিত শাহ বলেন, ”২৩ জুলাই কেন্দ্র কেরল সরকারকে আগাম সতর্ক করেছিল। বিপর্যয়ের সাত দিন আগেই। পরে ২৪ ও ২৫ জুলাইও সতর্ক করা হয়। ২৬ জুলাই জানিয়ে দেওয়া ২০ সেমি বা তারও বেশি পরিমাণে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এবং ধসও নামতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেরল সরকার কোনও মানুষকেই নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়নি। যদি নাগরিকদের নিরাপদে সরানো হত, তাহলে এত মানুষের প্রাণ যেত না।”

তাঁর এই দাবির অবশ্য আগেই বিরোধিতা করেছেন পিনারাই বিজয়ন। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ”ওয়ানড়ে ধসের সম্ভাবনা নিয়ে কেন্দ্র আগাম কোনও সতর্কবার্তা পাঠায়নি। শুধু ওয়ানড় জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা সংক্রান্ত কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। বাস্তবে সেই সতর্কতার চেয়েও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: হাত ফসকে কুয়োতে হাতুড়ি, উদ্ধারে নেমে প্রাণ গেল ৪ শ্রমিকের]

এদিকে জিএসআই জানিয়ে দিয়েছে, ভূমিধস নিয়ে নিখুঁতভাবে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া সম্ভবই নয়। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস রুখতে একটি আগাম সতর্কবার্তা চালুর চেষ্টা চলছে। তবে সেটা এখনও নিখুঁত নয়। এই পদ্ধতি চালু করতে আরও পাঁচ-ছয় বছর সময় লাগবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement