Advertisement
Advertisement

Breaking News

Rahul Gandhi

হাথরাসের স্বজনহারাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ রাহুল গান্ধীর, প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগে বিঁধলেন যোগীকে

হাথরাসের ওই দুর্ঘটনায় একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, গাফিলতির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।

Congress Leader Rahul Gandhi reaches Hathras to meet stampede victims
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 5, 2024 9:48 am
  • Updated:July 5, 2024 10:44 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাসের দুর্ঘটনায় স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ালেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। শুক্রবার সাতসকালে হাথরাসে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস নেতা। আশ্বাস দিলেন, তাঁর দল সবরকমভাবে স্বজনহারাদের পাশে থাকবে।

রাহুল গান্ধী হাথরাস যাবেন, একদিন আগেই জানিয়েছিল কংগ্রেস। এর আগে ২০২০ সালে হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডের পর সেখানে গিয়েছিলেন রাহুল। সেবার হাথরাস যাওয়ার পথে বারবার বাধা দিয়েছিল পুলিশ। এবার তেমন বাধার মুখে পড়তে হয়নি। দিল্লি থেকে প্রথমে তিনি যান আলিগড়। হাথরাস কাণ্ডে মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আলিগড়ের বাসিন্দা ছিলেন। সেখানে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আশ্বাস দেন পাশে দাঁড়ানোর। তার পর চলে যান হাথরাসে। সেখানকার স্বজনহারাদের সঙ্গেও কথা বলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা।

[আরও পড়ুন: ১০ জনপথে মুকেশ আম্বানি, হঠাৎ কেন সোনিয়ার বাড়িতে রিলায়েন্স কর্তা?

স্বজনহারাদের সঙ্গে কথা বলার পর রাহুল গান্ধী বলেন করেন, “এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। কিন্তু, প্রশাসনের দিক থেকে অনেক খামতি রয়েছে গিয়েছে। স্বজনহারারা আমাকে জানিয়েছেন, পুলিশ প্রশাসনের তরফে ঘাটতি ছিল। এরা অধিকাংশই গরিব পরিবারের। এদের আরও বেশি আর্থিক সাহায্য করা উচিত প্রশাসনের। আমি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে অনুরোধ করব, খোলামনে অর্থসাহায্য করুন।”

[আরও পড়ুন: ১২ বছরের নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ! গর্ভবতী হায়দরাবাদের কিশোরী

প্রসঙ্গত, হাথরাসের (Hathras Stampede) ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একের পর এক বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ৮০ হাজার জনের জমায়েতে অনুমোদন দিলেও জানা যাচ্ছে, উপস্থিত ছিলেন আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ। আরও অভিযোগ, আয়োজকরা ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে যেমন সহযোগিতা করেননি তেমনই পদপিষ্টের ঘটনার পরে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করেছেন। এত কিছুর পরও নাকি এফআইআরে ভোলে বাবার নাম নেই। উল্লেখ্য, এই ভোলে বাবাকে কেন্দ্র করেই আয়োজিত হয়েছিল অনুষ্ঠানটি। মর্মান্তিক ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে অবশেষে সক্রিয় হয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন জানায়, এই ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জনের মধ্যে ২ জন মহিলা এবং ৪ জন পুরুষ। ওই ৬ জনই সৎসঙ্গের ‘সেবাদার’ অর্থাৎ স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন। ঘটনার পরই পালিয়ে যান এই ৬ জন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ