সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগী সরকারের দাবি মৃতের সংখ্যা ৩০। তবে বেসরকারি মতে কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর বাস্তব সংখ্যাটা শতাধিক। সোমবার সংসদে বাজেট অধিবেশনে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা জানতে চেয়ে সরব হয়ে উঠলেন বিরোধী সাংসদরা। তুমুল হই-হট্টগোলের জেরে কার্যত শিকেয় উঠল অধিবেশন। কংগ্রেস, তৃণমূল, সপা-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির গলায় শোনা গেল একটাই সুর, ‘কুম্ভ পে জবাব দো’।
সোমবার সংসদ অধিবেশন শুরু হতেই কুম্ভ ইস্যুতে সরব হন বিরোধী দলের সাংসদরা। অভিযোগ করা হয়, মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে সেই তালিকা প্রকাশ করছে না সরকার। মৃতের পরিবার যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছে। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনার ৪ ঘণ্টা পরও সরকারের তরফে ক্ষয়ক্ষতির কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। বিরোধী শিবিরের তরফে অভিযোগ তোলা হয় মৃতের প্রকৃত তথ্য গোপন করছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তথ্য প্রকাশের দাবিতে বিরোধী শিবির রীতিমতো হই-হট্টগোল শুরু করেন তখন তাঁদের শান্ত হওয়ার আবেদন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
এই ঘটনায় রীতিমতো রুষ্ট হন স্পিকার ওম বিড়লা। টেবিল চাপড়ে স্লোগান দিতে থাকা অসমের কংগ্রেস সাংসদ প্রদ্যুত বরদোলোইকে বলেন, ‘এলাকার মানুষ আপনাকে সংসদে প্রশ্ন করতে পাঠিয়েছেন। এখানে টেবিল ভাঙবেন না। আর যদি সেটাই করতে চান, তাহলে আরও জোরে আঘাত করুন। যাতে টেবিল ভেঙে যায়।’ এরপর মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ অলোক শর্মাকে বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে বিরোধীদের স্লোগান ও চিৎকারের জেরে রাগে নিজের হেডসেট খুলে ফেলেন স্পিকার।
লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভাতেও এই ইস্যুতে সরব হন বিরোধী সাংসদরা। সরকার কুম্ভ নিয়ে আলোচনায় রাজি না হওয়ায় শেষে সংসদের দুই কক্ষেই বিরোধীরা ওয়াক আউট করেন। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারি বলেন, “আমরা এক ঘণ্টার জন্য ওয়াক আউট করেছি। আবার ফিরে গিয়ে এই ইস্যুতেই সুর তোলা হবে। আমরা লাগাতার ফোন পাচ্ছি। দুর্ঘটনার পর সাধারণ মানুষ তাদের পরিবারের সদস্যদের খুঁজে পাচ্ছেন না। আমরা জানতে চাই যদি ৩০ জন মারা গিয়ে থাকেন তবে সরকার কেন সেই ৩০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করছে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.