সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্ঘটনার পর নাবালককে আড়াল করতে তৎপর হন খোদ মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার (Ajit Pawar)। মাঝরাতে ফোন করেন পুলিশ কমিশনারকে। পুণের (Pune) পোর্শেকাণ্ডে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন সমাজকর্মী অঞ্জলি দামানিয়া। বৃহস্পতিবার ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন পওয়ার। এদিন পুণের দুর্ঘটনা নিয়ে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, নার্কোটিক পরীক্ষার জন্য তৈরি আমি, অভিযোগকারী যদি মিথ্যে প্রমাণিত হন, তবে মুখ বন্ধ করে সন্ন্যাস নেবেন তো?
অঞ্জলি অভিযোগ করেছিলেন, ধনী এবং প্রভাবশালী ইমরাত ব্যবসায়ীর ছেলের দুর্ঘটনার পর ওই রাতেই পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমারকে ফোন করেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ কমিশনার যাতে ওই ঘটনার তদন্তে কোনও রকম চাপ সৃষ্টি না করেন, বিষয়টিকে যাতে হালকা ভাবে দেখা হয়, তা নিশ্চিত করেন তিনি। অভিযুক্ত নাবালককে আড়াল করাই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এর ঠিক বিপরীত বিবৃতি বয়ান দিলেন পওয়ার। তিনি বলেন, “জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমন দুর্ঘটনার বিষয়ে আমরা ফোন পাই। সেদিন পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে বলেছিলাম, অভিযুক্ত ছেলেটি ধনী পরিবারের। পুলিশকে চাপ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি তাঁকে আরও বলি যে কোনও রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না।” পওয়ার আরও দাবি করেন, “আমি যে একথাই বলেছিলাম তা প্রমাণ করতে নার্কোটিক পরীক্ষার জন্য তৈরি। উনি মুখ বন্ধ করে ঘরে থাকবেন তো? সন্ন্যাস নেবেন? তৈরি তো?”
অভিযোগ, মদ খেয়ে পুনের রাস্তায় বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালিয়ে ২ জনকে হত্যার অভিযোগে সেই রাতে পুলিশ অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে আসে ঠিকই, তবে রীতিমতো জামাই আদর করে তাকে রাখা হয়। খেতে দেওয়া হয় পিৎজা। এই ঘটনার তদন্তে জানা যায়, সেই রাতেই অজিত পওয়ার ফোন করেন পুলিশ কমিশনারকে। উপমুখ্যমন্ত্রীর তরফে নাকি নির্দেশ দেওয়া হয়, অভিযুক্তের সঙ্গে যেন কোনও দুর্ব্যবহার না করে পুলিশ। পওয়ারের নির্দেশের পরই সতর্ক হয়ে যায় প্রশাসন। তবে উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠার পর অজিত পওয়ার নিজেও স্বীকার করে নেন, ফোন তিনি করেছিলেন। তবে তাঁর দাবি, অভিযুক্তকে বাঁচানোর জন্য নয়। কমিশনারকে জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তির ছেলে। ফলে সতর্কভাবে কাজ করার জন্য ফোন করেছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.