ফাইল চিত্র।
স্টাফ রিপোর্টার : রবিবাসরীয় নিউ ইয়র্কে ম্যাচের বিরতিতে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত শোনাচ্ছিল সুনীল গাভাসকরকে। সম্প্রচারকারী চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ‘বেপরোয়া’ আর ‘উদ্ধত’-র মতো বাছা বাছা বাক্যবাণে বিদ্ধ করছিলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের।
নাসাও স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে পূর্বসূরি মুম্বইকরের করা ব্যাটিং ব্যর্থতা সংক্রান্ত অভিযোগ মেনে নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী স্কোরবোর্ডে রান তুলতে পারেনি তাঁর দল। রোহিত বলছিলেন, “আমরা ঠিকমতো ব্যাট করতে পারিনি। প্রথম ১০ ওভারের পর মনে হয়েছিল, আমরা ভালো অবস্থায় আছি। সেখান থেকে জুটি তৈরি হওয়াটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু হয়নি। আমরা অন্তত ১৫-২০ রান কম করেছি। আর ক্রিকেটে প্রতিটা রানের গুরুত্ব রয়েছে। আমরা মোটামুটি ১৪০ রান বোর্ডে তোলার কথা ভেবেছিলাম। যাই হোক, বোলাররা কাজটা সম্পূর্ণ করেছে।” ম্যাচের সেরা যশপ্রীত বুমরাকে (Jasprit Bumrah) নিয়েও উচ্ছ্বসিত রোহিত। তবে এখনই বাড়তি প্রশংসা করতে চাইছেন না নিজের দীর্ঘদিনের সতীর্থের। ‘হিটম্যান’ বলছিলেন, “বোলাররা প্রত্যেকেই ম্যাচে তফাত গড়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বল করেছে। বিশেষত বুমরাহ। নিজের সর্বোচ্চটা আজ মাঠে দিয়েছে ও। তবে আমি এখনই ওর বেশি প্রশংসা করতে চাইছি না। বরং চাইব, বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) শেষদিন পর্যন্ত বুমরা যে এই মানসিকতা নিয়েই লড়ে যায়। বল হাতে ও সত্যিই জিনিয়াস!”
সম্প্রচারকারী চ্যানেলের জরিপ অনুযায়ী, একটা সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের সম্ভাবনা ছিল মাত্র ৮ শতাংশ। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৬ রানে ম্যাচ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। আর এই জয়ের জন্য দলগত সংহতির কথাই শুনিয়েছেন রোহিত, “দলের প্রত্যেকের মধ্যেই শেষ পর্যন্ত লড়ে ম্যাচ জেতার মানসিকতা রয়েছে। ১১৯ রানের পুঁজি নিয়ে নেমেছিলাম আমরা। তাই লক্ষ্য ছিল দ্রুত কয়েকটা উইকেট তুলে নেওয়া। সেটা হয়নি। তবে পাকিস্তান ইনিংসের মাঝের দিকে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি। আমরা বলাবলি করছিলাম যে যেভাবে আমরা বিপাকে পড়েছি ব্যাটিংয়ের সময়, ওদেরও ফেলা সম্ভব। প্রত্যেকেই এই জয়ে কিছু না কিছু অবদান রেখেছ। সেটাই তফাত গড়ে দেয়। তবে এটা সবে শুরু। আমাদের এখনও অনেকটা পথ যেতে হবে।” আয়ারল্যান্ড ম্যাচের তুলনায় এদিন উইকেট ভালো ছিল বলেও মনে করছেন ভারত অধিনায়ক। পাশাপাশি তিনি খুশি, মাঠে উপস্থিত সমর্থককুলকে জয় উদযাপনের সুযোগ দিতে পেরে।
হঠাৎ করে ভারতীয় বোলিংয়ের রং বদলে গিয়েছে বলে মনে করছেন বাবর আজমও। পাক অধিনায়কের কথায়, “১০ ওভারের পর থেকে হঠাৎ করেই দুরন্ত বোলিং শুরু করে ভারত। তার আগে পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের হাতের মুঠোয় ছিল। কিন্তু পরপর উইকেট হারানো আর ডট বলের জেরে ক্রমেই পিছিয়ে পড়েছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.