Advertisement
Advertisement

Breaking News

Tollywood Threat Culture

‘টানা ২৭-২৯ ঘণ্টা কাজ কি অমানবিক নয়?’, সমালোচকদের পালটা স্বরূপ বিশ্বাসের

টলিপাড়ার 'থ্রেট কালচার' নিয়ে প্রশ্নের কড়া জবাব দিলেন ফেডারেশন সভাপতি।

Tollywood Threat Culture: Swarup Biswas sharply replied on threat culture allegation
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:September 24, 2024 2:11 pm
  • Updated:September 24, 2024 3:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাপ বাড়ছে টালিগঞ্জের স্টুডিওপাড়ায়। অভিযোগ, কর্মক্ষেত্রে হয়রানির জন্যই এই আত্মহত্যার চেষ্টা। ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে সরব হয়েছে নানা মহল। এমন পরিস্থিতিতে পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার (FCTWEI) সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। সংবাদমাধ্যমকে এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি জানতে চান, ”একটানা ২৭-২৯ ঘণ্টা কাজ কি অমানবিক নয়?”

Swarup-Biswas-2

Advertisement

টলিপাড়ার ‘থ্রেট কালচার’ (Tollywood Threat Culture)  নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ফেডারেশন সভাপতি বলেন, ”যাঁরা এই অভিযোগ করছেন আমি তাঁদেরই বলব যে কোথায় থ্রেট কালচারটা হচ্ছে। থ্রেট তো যাঁরা বলছেন তাঁরাই দিচ্ছেন। দেখে নেব, বুঝে নেব, শেষ পর্যন্ত দেখে ছাড়ব, এগুলোকে কি থ্রেট বা হুমকি বলে না? আমাদের কোনও কলাকুশলী কি কাউকে থ্রেট দিয়েছেন বা কাউকে কোনওভাবে অপমানিত করেছেন? একটি ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে আমরা সুরক্ষা বন্ধু কমিটি, যেটা আমরা তৈরি করেছি তাঁরা গতকাল (রবিবার) তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তিনি বলেছেন আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাহলে এখানে থ্রেট কোথায়? সমস্যা যদি হয় তাহলে সেই সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে মেটাতে হবে।”

হেয়ার ড্রেসার সম্প্রতি, এমনকী চলতি মাসেও একাধিক প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন বলে জানান স্বরূপ বিশ্বাস। সেই তথ্যপ্রমাণ হেয়ার ড্রেসারদের গিল্ডের পক্ষ থেকে দিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। কাজ না দেওয়ার অভিযোগের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি জানান, যাঁরা একথা বলছেন তাঁরা এতদিন কলাকুশলীদের প্রতারিত করেছেন।

এরপরই স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, ”আজকে আমরা বুঝি যে কেন এগুলো উঠছে। আজকে টেকনিশিয়ানরা বা কলাকুশলীরা ১৪ ঘণ্টা কাজ করে। আগে সেটা ২০ ঘণ্টা, ২২ ঘণ্টা হত। একজন কলাকুশলী সকালবেলা আসতেন, পরদিন সকালবেলা বাড়ি ফিরতেন, আবার এক ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ দিতেন। দীর্ঘ লড়াই করেছেন কলাকুশলীরা। আমরা সবাই মিলে হাতে হাত বেঁধে লড়াই করেছি। তার পরে আজকে ১৪ ঘণ্টা কাজ হয়েছে। এখনও আমরা ফিল্মে সেটা করতে পারিনি। আমরা কিছুদিন আগে তথ্য দিয়ে জানিয়েছি যে একটা ফিল্মে ২৭ ঘণ্টা, ২৬ ঘণ্টা, ২৯ ঘণ্টা কাজ হয়েছে, এটা কি অমানবিক নয়? এটা কি অমানুষিক পরিশ্রম নয়?”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement