সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবচেয়ে কাছের মানুষ। জন্মের আগে থেকেও যাঁর সঙ্গে নাড়ির টান, সেই মানুষকে হারিয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শনিবার শহরের বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেত্রীর মা নন্দিতা সেনগুপ্ত। মায়ের বকা দেওয়া ফোনটা যে আর কোনওদিনও আসবে না, বলতে বলতেই কেঁদে ফেললেন ঋতুপর্ণা।
অনেক দিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মা। এর আগে অভিনেত্রী জানান, লাগাতার ডায়ালিসিসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁর মাকে। ৭৭ বছরের নন্দিতাদেবী আরও একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রায় এক মাস ধরে হাসপাতালে ছিলেন তিনি। টানা পনেরো দিন ভেন্টিলেশনে তীব্র লড়াই করেছিলেন। সেই লড়াই থামল শনিবার।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিনেত্রী বলেন, “মা চলে গেলে কি আর কিছু বলা যায়? তোমরাও সবাই ছিলে। জানো এক মাস ধরে মা যুদ্ধ করছিল। ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করেছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ। আত্মীয়-পরিজন সবাই খোঁজ নিয়েছেন। থ্যাঙ্কিউ তোমরা সবাই খোঁজ নিয়েছো মায়ের জন্য। আশা করি মা যেখানেই আছে শান্তিতে থাকবে। মা-বাবার তো কোনও বিকল্প হয় না! এখনও মা আমাকে শাসন করত, বকাবকি করত। কয়েকদিন আগেই বলেছিল, ‘এখনও আসছ না তুমি… এখনও আসছ না!’ মায়ের এই ফোনটা তো আর কোনওদিন আসবে না। যাঁরা মা হারিয়েছেন তাঁরা জানেন। যাঁদের মা আছে খুব যত্ন করে রেখো মাকে।” ভাইকে পাশে নিয়ে কথাগুলো বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেন ঋতুপর্ণা।
লড়াকু মনের মানুষ ছিলেন নন্দিতা সেনগুপ্ত। এবারের যুদ্ধেও নিশ্চয়ই জয়ী হয়ে ফিরবেন। আশা ছিল ঋতুপর্ণার। কিন্তু তা হল না। মায়ের প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। নন্দিতাদেবীর প্রয়াণের খবর পেয়েই অভিনেত্রীর কাছে পৌঁছে যান বন্ধু-শুভাকাঙ্খীরা। মেয়ে ঋষণাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে আসছেন সঞ্জয় চক্রবর্তী। ছেলে অঙ্কণ পড়াশোনার জন্য বস্টনে থাকার কারণে তার পক্ষে আসা সম্ভব হয়নি। ভিডিও কলেই দিদাকে শেষ দেখা দেখতে হয়েছে তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.