সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। তার পর থেকেই বিরোধী শিবিরগুলো প্রশ্ন তুলেছে, ‘মেয়েদের জীবনের মূল্য কি ১০ লক্ষ টাকা?’ শুধু তাই নয়, একযোগে কাঠগড়ায় তুলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। যদিও নিহত তরুণী ডাক্তারের পরিবার ওই টাকা নিতে অস্বীকার করেছে, তবুও প্রতিবাদের রেশ থামেনি! এবার মমতার পাশে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক পোস্ট তসলিমা নাসরিনের।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের এহেন উত্তাল পরিস্থিতিতে, সোশাল মিডিয়ায় বিরোধী শিবির এবং সমর্থকরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। নিয়মমাফিক সরকারি ক্ষতিপূরণ বা সাহায্যের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন অনেকে। কেউ বা বা আবার সাম্প্রতিক বাংলাদেশের নৈরাজ্যের পরিস্থিতি এবং পদত্যাগের পর শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেও মমতাকে বিঁধে চলেছেন। তাঁদের মন্তব্য, “জনতা খেপলে কী হয়? সেটা দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।” বিগত সপ্তাহ খানেক ধরেই পদ্মাপার থেকে যেসব ছবি-ভিডিও বা খবর ভাইরাল হয়েছে, সেগুলো সেখানকার সংস্কৃতি বা শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। আর জি কর কাণ্ডের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও তুলনা করা হয়েছে শেখ হাসিনার সঙ্গে।
এবার সেই প্রেক্ষিতেই তসলিমা নাসরিনের মন্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গের মমতা দিদি তো বাংলাদেশের হাসিনা আপার মতো ভোটারবিহীন নির্বাচনে জিতে আসেননি।”
সেই পোস্টেই লেখিকার প্রশ্ন, “বাংলাদেশে যেমন ছেলেমেয়েরা মিছিল করে সরকার ফেলে দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই তেমন করে সরকার ফেলে দিতে চাইছে। কিন্তু তা কি সম্ভব?” ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়ে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দদ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে তসলিমা বলছেন, “মানুষের জীবনের যেখানে ১০ পয়সা দাম নেই, সেখানে ১০ লাখ টাকা দিয়ে জীবন কিনলে, আজ চেঁচালেও দু-দিন পরই দু-হাত পেতে নেবে।”
অন্যদিকে নিহত তরুণী ডাক্তারের বাবা রাজ্য সরকারের তরফে ১০ লক্ষ টাকা সাহায্য প্রত্যাখ্যান করে দিয়ে জানিয়েছেন, “আমি যদি আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য টাকা নিই, তাহলে এটা ওকে কষ্ট দেবে। আমাদের ন্যায়বিচার চাই, টাকা নয়।” “সেলাইয়ের কাজ করে মেয়েকে বড় করেছি, সেলাই করেই খাব। মেয়েকে হারিয়ে লক্ষ সন্তানের বাবা হয়েছি, তাই মেয়েকে বিক্রি করে টাকা নেব না”, সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া নির্যাতিতার বাবার মন্তব্যকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.