সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের জয়ের আনন্দেই মেতে রয়েছেন হুগলির ‘দিদি নাম্বার ১’ তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে মধুর হাসি মুখে নিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন রচনা, সেই হাসি মুখে নিয়েই এবার হুগলি সামলাবেন তিনি। নতুন দায়িত্ব কাঁধে পেতে কী পুরনো দায়িত্বকে ভুলবেন? রাজনীতির ব্যস্ততার চাপে পড়ে কি ‘দিদি নাম্বার ১’ শো-কে বিদায় জানাবেন? অনুরাগীদের মনে হাজার প্রশ্ন। আর তাই তো ভক্তদের চিন্তা দূর করতে রচনা নিজেই জানালেন ‘দিদি নাম্বার ১’-এর ভবিষ্যতের কথা।
বুধবার সকালে হুগলির এক স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। তারপরই রওনা দিয়েছেন কলকাতার উদ্দেশে। তার মাঝে রচনা জানিয়েছেন, ”রাজনীতিক হিসেবে ব্যস্ততা তো বাড়বেই। তবে দিদি নাম্বার ওয়ান এবং এই নতুন দায়িত্ব সামলাতে তেমন অসুবিধা হবে না। দু-দিকেই সমান দায়িত্ব পালন করব।”
প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই পরিবারকে তেমন সময় দিতে পারেননি রচনা। তাই প্রথমে ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান রয়েছে। রচনা জানিয়েছেন, ”গত কয়েক মাসে একদম সময় দিতে পারিনি ছেলেকে। জেতার পর আমাকে বলেছে, ‘মা, আমাকে এ বার সময় দেবে’। ওকে নিয়ে ঘুরতে যাব আগে।”
কোন অঙ্কে দুঁদে নেত্রী লকেটকে টেক্কা দিয়ে কিস্তিমাত করলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়?
বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় গত ভোটে জেতার পর থেকেই তাঁকে আর তাঁর সংসদীয় কেন্দ্রে তেমনভাবে দেখা যায়নি বলে একটা ক্ষোভ জমেছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। এমনকী পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসে ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছিল লকেটকে। তাঁর নামে নিখোঁজ পোস্টারও পড়ে বহু জায়গায়। এছাড়াও বিজেপির আরও বড় মাথা ব্যাথার কারন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে লকেট নিজের নাম নিজেই ঘোষণার পরেই দলের কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তাই এবার রচনা বন্দোপাধ্যায়কে তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করার পর থেকেই কিছুটা হলেও হুগলিতে পদ্মপ্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় ব্যাকফুটে ছিলেন। তবে প্রচারের ময়দানে এককালের সিনে ইন্ডাস্ট্রির সতীর্থ বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রচনাকে ঝাঁজালো কথায় বিঁধতে ছাড়েননি লকেট। শেষমেষ ‘জনতা জনার্দন’-এ বিশ্বাসী রচনাই জয়ের হাসি হাসলেন। “জয়ই জবাব। নতুন করে কিছু বলার নেই”, লকেটকে হারানোর পর প্রথম প্রতিক্রিয়া রচনার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.