সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই সেই অভিশপ্ত আগস্ট। ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট ধর্ষণ মামলার দায়ে ফাঁসি হয়েছিল ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের। পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে সেই ফাঁসি হওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল? প্রশ্ন তুলেছিল ধনঞ্জয়ের পরিবার। সেই ফাঁসি রদ করা যায়নি। তবে সেই ‘সাজা’ নিয়ে পরবর্তীতে নানা বিতর্ক দানা বাঁধে! ঘটনা আবলম্বনে সিনেমা তৈরি করেন পরিচালক অরিন্দম শীলও। ধনঞ্জয়ের ফাঁসির স্মৃতি আজও তাজা কবীর সুমনের (Kabir Suman) স্মৃতিতে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) প্রয়াণের দিন স্মৃতির সরণি বেয়ে সেকথাই মনে করিয়ে দিলেন শিল্পী।
‘বিশ সাল বাদ’! ধনঞ্জয় ঘটনার কুড়ি বছর বাদে এই আগস্ট মাসেই বুদ্ধবাবু চিরকালের জন্য বিদায় নিলেন। বুদ্ধাস্তের পর যখন তারকারা শোকবার্তা জ্ঞাপনে ব্যস্ত, তখন কবীর সুমনের সোশাল ওয়ালে দেখা গেল ধনঞ্জয়ের ফাঁসির ঘটনার কথা। কবীর সুমন লিখেছেন, “ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় আপনাকে ভুলিনি, ভুলব না। নিতান্ত পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে আপনার ফাঁসি হয়েছিল। সেসময়ের রাজ্য সরকার প্রধানের স্ত্রী ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিককে নিয়ে পথসভা করেছিলেন- আপনাকে ফাঁসি দেওয়ার পক্ষে জনমত জাগিয়ে তুলতে। আমরা কেউ আপনার ফাঁসি আটকাতে পারিনি, ধনঞ্জয়। আজ খুব মনে পড়ছে আপনাকে। সত্যি বলতে, আমিও তো ৭৫ পেরনো বুড়ো। খেয়াঘাটে অপেক্ষায়।”
উল্লেখ্য, ধনঞ্জয় মামলার সময়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বুদ্ধপ্রয়াণের দিনই শিল্পীর এহেন পোস্টে নেটপাড়ার একাংশ সমর্থনও জানিয়েছেন। এবং তাঁদের নিশানা প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরই দিকে। সেই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠেছে- তাহলে কি নাম না করে প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেই বিঁধলেন কবীর সুমন?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.