সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য এ আর রহমানের তিন দশকের দাম্পত্য ভেঙেছে। বুধবার সোশাল মিডিয়ায় আচমকাই মিউজিক মায়েস্ত্রোর ডিভোর্সের (AR Rahman, Saira Banu) খবর শুনে যেন বাজ পড়ে ভক্তদের মাথায়! পাশাপাশি শুরু হয়, পরকীয়ার গুঞ্জনও। সেই জল্পনা পেরিয়ে এখন সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু! খোরপোশ হিসেবে রহমানের বিপুল সম্পত্তির কত ভাগ পাচ্ছেন স্ত্রী সায়রাবানু? কৌতূহলের অন্ত নেই! সেই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন আইনজীবী বন্দনা শাহ।
ডিভোর্স আইনজীবী হিসেবে বেশ খ্যাতনামা বন্দনা। তিনিই রহমান এবং সায়রার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাটি দেখছেন। খোরপোশ নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই এবার বলিউড সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন বন্দনা শাহ। তিনি প্রথমেই জানিয়েছিলেন যে, “২৯টা বছর সংসার করার পর ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেওয়া সায়রা-রহমান দুজনের জন্যই কঠিন ছিল। বিশেষ করে ভারতের মতো দেশে সমাজের প্রচলিত ধ্যানধারণা বিবাহ বিচ্ছেদের জটিলতা আরও বাড়িয়ে দেয়।” সূত্রের খবর, রহমান কমবেশি ১,৭২৮ কোটি টাকার মালিক এবং তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২০০০ কোটি টাকা। এবার প্রশ্ন, এ আর রহমানের বিপুল সম্পত্তির অর্ধেক অংশ খোরপোশ হিসাবে পাবেন সায়রা বানু?
এপ্রসঙ্গে বন্দনা শাহ জানিয়েছেন, “বিচ্ছেদের পর স্বামীর সম্পত্তির অর্ধেকাংশ যে স্ত্রী পাবেন খোরপোশ হিসেবে, সেটা ভারতে এক প্রচলিত ধারণা ছাড়া কিছুই নয়। এইধরণের কোনও আইনও নেই। তাই রহমান-সায়রার ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য। আইনজীবীর সংযোজন, ডিভোর্সের মামলা দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গেই স্ত্রীরা সম্পত্তির অর্ধেক মালিকানা পান না। এই আইনি প্রক্রিয়া চলতে একটু সময় লাগে। তাই রায় দানের আগে আদালত তথ্যপ্রমাণাদি যাচাই করে। যদিও এ আর রহমান এবং সায়রাবানু বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই এক্ষেত্রে খোরপোশের প্রশ্নই ওঠে না।”
এদিকে মিউজিক মায়েস্ত্রো রহমানের সম্পর্কে নানা কুকথা, চটুল, কুৎসিত খবর ছড়াতেই ময়দানে নামেন সায়রাবানু। এ আর রহমানের সঙ্গে উনত্রিশটা বছর সংসার করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই কঠিন সময়ে যে হাজারো রটনা, গুঞ্জন আরও বিচলিত করবে। ডিভোর্স ঘোষণার পাঁচ দিন বাদে মুখ খোলেন সায়রা (Saira Banu)। রবিবার এক ভয়েস নোট প্রকাশ্যে এনে সায়রাবানু জানালেন, “নমস্কার আমি সায়রা রহমান। আমি গত কয়েক মাস ধরেই মুম্বইতে রয়েছি। আমি রহমানের থেকে একটু বিরতি নিতে চেয়েছিলাম। ইউটিউবার এবং সমস্ত মিডিয়াকর্মীদের কাছে আমার অনুরোধ, রহমানের নামে কোনও খারাপ কথা বলবেন না। ও দারুণ একজন মানুষ। আমার দেখা সেরা মানুষ। আমি শুধুমাত্র আমার শারীরিক অসুস্থতার জন্যই চেন্নাই ছেড়েছি। আমি জানতাম, আমি চেন্নাইতে না থাকলেই লোকজন ভাববে, সায়রা কোথা গেল? আসলে আমার চিকিৎসা চলছে। চেন্নাইতে রহমানের এত ব্যস্ত শিডিউল থাকে যে, ওখানে থাকলে এটা সম্ভব হত না।”
View this post on Instagram
এরপরই সায়রাবানুর সংযোজন, “আমি আর রহমান এখনও একে-অপরকে ভালোবাসি। আর এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তটা একশো শতাংশ মিউচুয়াল। খুব ভালো মানুষ ও। তাই সকলের কাছে আমার অনুরোধ রহমান যেমন আছে, ওকে তেমনটাই থাকতে দিন। আমার নিজের জীবন দিয়ে ওকে বিশ্বাস করি। এতটাই ভালোবাসি আমি ওকে। রহমানও তাই। তাই সবার কাছে একটাই আর্জি, রটনা রটানো বন্ধ করুন। আমাদেরকে একটু একা থাকতে দিন। আমরা তো অফিশিয়ালি কারণ নিয়ে কিছু বলিনি এখনও। তাই ওঁর নামে কুৎসা রটাবেন না।” যে সম্পর্কে বিচ্ছেদের পরও ভালোবাসা রয়েছে, সেখানে খোরপোশের বিষয় যে তুচ্ছ সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন আইনজীবী বন্দনা শাহ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.