Advertisement
Advertisement

Breaking News

Aparajita Adhya

‘অত্যন্ত ঘৃণ্য মানসিকতার পরিচয়’, বেশি বয়সে দাদার বিয়ে নিয়ে কটাক্ষের জবাব অপরাজিতা আঢ্যর

'শারীরিক, মানসিক প্রতিবন্ধকতার জন্য হাসির খোরাক দাদা', কটাক্ষের জবাব অপরাজিতার আঢ্যর।

Aparajita Adhya gave befitting reply who trolled her Elder brother's marriage
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:August 5, 2024 11:17 am
  • Updated:August 5, 2024 11:17 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি দাদার বিয়ে দিয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য। শনিবার নিজের সোশাল ওয়ালে শুভ পরিণয়ের ছবি শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। সিংহভাগ নেটিজেন শুভেচ্ছাবার্তা দিয়ে কর্তব্যপরায়ণ অভিনেত্রীকে কুর্নিশ জানালেও একাংশ তাঁর দাদার বয়স নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেছিলেন। আবার অনেকেই কৌতূহলী ছিলেন, ‘কেন এত বেশি বয়সে অপরাজিতা আঢ্যর দাদার বিয়ে হল?’ এবার যাবতীয় প্রশ্ন, কটাক্ষের জবাব দিলেন অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)।

শুক্রবার হাওড়ায় নিজেদের একশো বছরের পুরনো বাড়িতে প্রিয় রানি দিদির সঙ্গে দাদার বিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। তার পরই মায়ের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখে জানিয়েছেন, “আজ বোধহয় তুমি সব থেকে বেশি শান্তি পেয়েছ যে, তোমার ছেলে বিবাহিত এবং তোমার পছন্দ করা পাত্রী তোমার পুত্রবধূ। আর আমার শান্তি, আমি আমার সবটুকু দায়িত্ব যা যা তোমাকে বলেছিলাম, সবটা পালন করতে পারলাম।” কিন্তু দাদার বিয়ে নিয়ে যেভাবে হাসির খোরাক করা হয়েছে, কিংবা একাংশ নাক সিঁটকেছেন অপরাজিতার পঞ্চাশোর্ধ্ব দাদাকে বরবেশে দেখে, এবার অভিনেত্রী তাঁদের জবাব দিলেন ফেসবুক লাইভে এসে।

Advertisement

রবিবার হাওড়ার বাড়িতে দাদা-বউদির ঘরোয়া বউভাতের আয়োজন হয়েছিল। সেখানেই পৌঁছেছিলেন অভিনেত্রী। অনুষ্ঠান মিটতেই ফেসবুকে এসে সমস্ত জবাব দিলেন। অভিনেত্রী জানালেন, “আমার দাদার শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সেটার সঙ্গে ওঁকে লড়াই করতে হয়। দাদার অনেক ওষুধ চলে। উনি সরল-সাধাসিধে মানুষ, এলাকায় অনেক মানুষ ওকে হাসির পাত্র বানানোর চেষ্টা করে। বলে- ‘ওর কিছু হবে না’। আমি এই ধরণের মানুষকে ঘৃণা করি। এটা আমার দাদার সঙ্গে হামেশাই ঘটে, ওর বিয়ের পরও ঘটেছে। এটা অত্যন্ত কদর্য মনের পরিচয় দেয়। কারোর ভালোতে যদি আপনি খুশি না হন, তাহলে আপনি ঘৃণ্য মানসিকতার পরিচয় দেন।”

[আরও পড়ুন: ‘লাশের হিসাব কে দেবে? কোন কোটায় দাফন হবে?’, অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ নিয়ে মন কাঁদছে স্বস্তিকার]

অনেকেই অভিনেত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তাঁর নতুন বউদি কীভাবে তাঁদের পূর্বপরিচিত? সেই প্রেক্ষিতে অপরাজিতা আঢ্যর মন্তব্য, “রানি দিদিকে আমার দিদিমা পছন্দ করে গিয়েছিলেন। দিদিমা চেয়েছিলেন ওর সঙ্গে দাদার বিয়েটা হোক। ও সারাক্ষণ দিদার সঙ্গে থাকত। দিদিমা মারা যান, সেটা ২০১১ সাল। সেইসময় ওই দিদির সঙ্গে বিয়ে দেওয়াটা সম্ভব হয়নি। আমাদের পরিবারে কিছু অসুবিধা ছিল, রানি দিদিরও তো ভাই মারা যায়। ওঁকে ওঁর গোটা সংসারের হাল ধরতে হয়েছিল। মা মারা যাওয়ার পরপর দাদাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওঁর শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। তখনও রানি দিদির সেবাশুশ্রুষাতেই দাদা সুস্থ হয়। আমার দাদা, মায়ের জন্য রানিদিদি জীবনপাত করে দিয়েছেন। তাই দাদা সুস্থ হয়ে ওঠার পর যখন বন্ধু অর্পিতা দাদার সঙ্গে রানি দিদির বিয়ের প্রস্তাব দেন তখন স্বস্তি পাই।” তবে অপরাজিতা এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ স্বেচ্ছাতেই বিয়েতে রাজি হয়েছেন বলেই এই বিয়েটা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাস থামান, পিস্তলে কেন জনমতের প্রকাশ?’, রক্তাক্ত বাংলাদেশ নিয়ে কাতর পোস্ট ফারুকীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement