Advertisement
Advertisement
Durgapur

বাড়িতেই লুকিয়ে বেআইনি বাজি তৈরি? দুর্গাপুরে বিস্ফোরণে জখম যুবক

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Youth injured in explosion in Durgapur

ঘটনার পর এলাকায় তদন্তে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:April 23, 2025 4:12 pm
  • Updated:April 23, 2025 4:12 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: টালির ঘরে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দুর্গাপুরের নিউটন ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম এক যুবক। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি যে ঘরটি ভেঙে গিয়েছে। বিস্ফোরণস্থলে প্রচুর পরিমাণে বারুদ ও কাগজের টুকরো পাওয়া গিয়েছে। ওই বাড়িতে কি বেআইনিভাবে বাজি তৈরি হত? সেই প্রশ্ন উসকে যাচ্ছে। খবর পেয়েই বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গুরুত্ব বুঝে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে তদন্তে যান দুর্গাপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবীর রায়। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিউটন অ্যাভিনিউ এলাকার একটি টালির ঘরে বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে আশপাশ। প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন ওই ঘরের সামনে গুরুতর জখম হয়ে পড়ে রয়েছেন সজল দেবনাথ নামে বছর ৩৪-এর যুবক। ওই টালির বাড়িও বিস্ফোরণের কারণে ভেঙেচুরে গিয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে যায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। জখম ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  পরে তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তিনি ভর্তি রয়েছেন বলে খবর। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের ওই ঘর থেকে বারুদ পাওয়া গিয়েছে। বিস্ফোরণের সময় বারুদের গন্ধও ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই বাড়িতে কি বেআইনিভাবে বাজি তৈরি হচ্ছিল? সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জখম ওই যুবক একাই ওই বাড়িতে থাকতেন। তিনি ক্যাটারিং-সহ একাধিক কাজের সঙ্গে জড়িত। কখনও বাজি তৈরির কাজও করতেন বলে অভিযোগ। বাজি তৈরির জন্য কি বারুদ ওই ঘরে মজুত করা হয়েছিল? সেই বারুদেই কি বিস্ফোরণ হয়েছে? সেসব প্রশ্ন উঠেছে।

দুর্গাপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবীর রায় জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। বিস্ফোরণস্থল-সহ আশপাশ ঘিরে রাখা হয়েছে। তদন্তের জন্য বম্ব স্কোয়াডকেও খবর দেওয়া হয়েছে। বেআইনিভাবে কি বাজি তৈরি হত? নাকি বারুদ নিয়ে অন্য কোনও কাজ চলত? কত দিন ধরে সেই কাজ চলছে? সেই প্রশ্ন উঠেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement