প্রতীকী ছবি
অর্ক দে, বর্ধমান: বৈবাহিক সমস্যা মেটাতে সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন স্বামী ও স্ত্রী। ছিলেন তাঁদের আত্মীয়রাও। সেখানে স্বামীর পেটে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানা এলাকায়। তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত যুবকের নাম শেখ রকি। তিনি পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা। রকি স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স চালক। প্রায় বছর আগে লাভপুরের বাসিন্দা জোনাকি খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। রকির পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে জোনাকি একাধিক দাবিতে ঝামেলা করতে থাকেন। টাকা-পয়সা নিয়ে রকির পরিবারের সঙ্গেও তাঁর প্রায়শই ঝামেলা লাগত। স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতেও শুরু করেন।
পরিবারের আরও অভিযোগ, রকিকে একপ্রকার জোর করে বাড়ি থেকে আলাদা করে নিয়ে যান জোনাকি। তাঁদের দাবি, অন্য বাড়িতে চলে গেলেও স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলা লেগে থাকত। মাঝে রকি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। অভিযোগ, তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। সেখানে থেকেই বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোশ হিসাবে ১২ লক্ষ টাকা দাবি করতে থাকেন জোনাকি।
সেই সমস্যা মেটাতেই গ্রামে সালিশি সভা বসানো হয়। সেখানে রকি ও তাঁর মা এবং জোনাকির মা ও এক পিসেমশাই উপস্থিত ছিলেন। রকি জানান, ৭ লক্ষ টাকা দিতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তের পর হঠাৎ অভিযুক্ত জোনাকি ব্যাগ থেকে ছুরি বার করে রকির পেটে চালিয়ে দেন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তিনি। এদিকে জোনাকি ও তাঁর মাকে আটক করে রাখেন স্থানীয়রা। খবর যায় দেওয়ানদিঘি থানায়। পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে। আহত শেখ রকির দিদির দাবি, “ভাইয়ের সঙ্গে জোর করে বিয়ে করেছে। জোনাকি আগে থেকে বিবাহিত বলে শুনেছি। প্রায় ঝামেলা করত। শাস্তি চাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.