রাজা দাস, বালুরঘাট: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) ময়দানে এবার যুযুধান বউমা এবং খুড়শাশুড়ি। গ্রাম পঞ্চায়েতে একই আসনে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। আর তাঁদের এই লড়াই আলাদা আকর্ষণের জন্ম দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) হিলি সীমান্তে। তবে পারিবারিক সুসম্পর্ক অটুট রেখেই ভোটে লড়াই জারি থাকবে। এমনই মনে করছেন দুই প্রার্থী ও তাঁদের পরিজনরা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি (Hili) ব্লকের অন্তর্গত পাঞ্জুল গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম সংসদ আগ্রা। ওই সংসদ থেকেই তৃণমূলের (TMC) হয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন বউমা মামনি মুর্মু এবং বিজেপির (BJP) হয়ে প্রার্থী হচ্ছেন কাকী শাশুড়ি মায়া হেমব্রম। কৃষিকাজ এবং পশুপালনই তাঁদের জীবিকার একমাত্র উপায়। এদিকে, একই গ্রামে পাশাপাশি বাড়ির দুই নিকটতম শরিকের লড়াইকে কেন্দ্র করে জোর চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়। তবে পঞ্চায়েত ভোটের লড়াইকে কেন্দ্র করে নিজেদের সম্পর্কে একটুকুও চির ধরবে না বলে দাবি করেছেন মামনি এবং মায়া দেবী। তাঁরা যে যার নিজেদের ইস্যুকে সামনে রেখে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত।
তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী মামনি মুর্মু বলেন, ”গ্রামীণ রাস্তাঘাট, সবুজ সাথীর সাইকেল, কন্যাশ্রী, বিভিন্ন ভাতা-সহ যাবতীয় প্রকল্পর সুবিধা পাচ্ছেন মানুষজন। জনমুখী এসব প্রকল্পগুলিকে সামনে রেখেই মানুষের সামনে যাব আমি। জয় নিশ্চিত।” আর বিজেপির হয়ে মনোনয়ন দাখিল করা মামনির কাকি-শাশুড়ি মায়া হেমব্রমের কথায়, ”আগ্রা গ্রাম সংসদটি সীমান্তবর্তী এলাকা। চাষাবাদ ও যোগাযোগ নিয়ে এখানে বিএসএফের সঙ্গে গ্রামবাসীদের নিত্য সমস্যা রয়েছে। ভোটে নির্বাচিত হলে এই সমস্যাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।”
কিন্তু একই আসনে দু’জন প্রার্থী। একজনকে তো পরাজয় স্বীকার করতেই হবে। তখন কি চিড় ধরতে পারে ব্যক্তিগত সম্পর্কে? এ বিষয়ে তাঁরা দু’জনেই বলছেন, প্রচার থেকে ভোটপর্ব কিংবা ফলপ্রকাশের পরেও দুই শরিকের মধ্যে কোনও দূরত্ব বা শত্রুতা দেখা দেবে না বলেই দাবি করেছেন মামনি মুর্মু এবং কাকী শাশুড়ি মায়া হেমব্রম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.