Advertisement
Advertisement

Breaking News

Murshidabad

কাঁটাতারের অভাবেই প্রশস্ত অনুপ্রবেশের পথ? মুর্শিদাবাদ সীমান্তে ফের গ্রেপ্তার ২ বাংলাদেশি

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা বেদেয়া সম্প্রদায়ের বলে জানা গিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, এপারে এসে জাদু দেখিয়ে কিছু রোজগার করা।

Two Bangleadeshi arrested from border in Murshidabad
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 2, 2025 6:09 pm
  • Updated:February 2, 2025 6:26 pm  

অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: কাঁটাতার বিহীন এলাকায় মুর্শিদাবাদের চর কাকমারী সীমান্ত। আর সেই খোলা এলাকাতেই প্রশস্ত অনুপ্রবেশের পথ! মুর্শিদাবাদের গত এক সপ্তাহে পরপর মোট ৭ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর গ্রেপ্তারিতে এমনই কথা বলছেন সীমান্ত এলাকার মানুষজন। শনিবার রাতেও ফের অবৈধভাবে সীমান্ত পেরনোর অভিযোগে মুর্শিদাবাদে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হল দুই বাংলাদেশি নাগরিক। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভারতে ঢুকে রোজগারের পরিকল্পনা ছিল তাদের। পুলিশ তাদের জেরা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদবাদের সাগরপাড়ার চর কাকমারী সীমান্তে। ধৃতরা বছর বাহান্নর কেরামত মাল ও ৪০ বছরের সালাম বেদ। দুজনেরই বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকায়। ধৃতরা মাস চারেক আগে অসম সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। তারপর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তারা সাগরপাড়ার চর কাকমারী সীমান্তে হাজির হয়, বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু রাতে চর-কাকমারী এলাকায় নাকা চেকিংয়ের সময় তাদের ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তাদের সঙ্গে সঙ্গে আটক করে পুলিশ জানতে পারে, তারা বাংলাদেশি। এরপর অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় সাগরপাড়া থানায়।

Advertisement

চর কাকমারী সীমান্তে গ্রেপ্তার হওয়া দুই বাংলাদেশির ব্যাপারে জানা গিয়েছে, তারা বেদেয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। ভারতের অসম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে। তারপর জাদু দেখিয়ে টাকা রোজগার করে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টায় ছিল। পুলিশ জানায়, ধৃতরা এমনিতে সরল মানুষ বলেই মনে করা হচ্ছে। নিছক জাদু দেখিয়ে রোজগারের উদ্দেশেই ভারতে ঢুকেছিল।

এনিয়ে গত ২২ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট সাতজন অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করল মুর্শিদাবাদ পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, অনুপ্রবেশকারীরা বাংলার এসব সীমান্তই বেছে নিচ্ছে কেন? তার সহজ-সরল উত্তরও দিচ্ছেন সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজন। তাহল এই থানার সীমান্ত এলাকামুক্ত এলাকা হওয়ায় সহজেই ভারত বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় পৌঁছে যাওয়া যায়। আর পৌঁছে গেলেই মিশে যাওয়া যায় জনপদে। আর তাই অনুপ্রবেশকারীরা এইসব সীমান্ত বেছে নিচ্ছে পার হওয়ার জন্য। জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রাকিবুল ইসলাম রকির কথায়, “এই কারণে আমরা বারংবার দাবি করেছি এমনকি বিএসএফের সিও পর্যায়ের অফিসারকে বলেছি, জলঙ্গি ব্লকের প্রায় ৩০ কিলোমিটার খোলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য।” বিষয়টি এখন বিএসএফের বিবেচনাধীন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement