চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে জামিনে জেলমুক্তির পর বাড়ি ফিরলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। যেখান থেকে গ্রেপ্তার হন, প্রায় ১৩ মাস পর সেই বাড়িতেই ফিরলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। মালা পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান অনুগামীরা। এতদিন পর বিধায়ক বাড়ি ফেরায় খুশি পরিবারের লোকজন এবং অনুগামীরা।
স্ত্রী টগরী সাহাকে নিয়ে আপাতত মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার আন্দি গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। বাড়ি ফিরে বিধায়ক জানান, “সুপ্রিম কোর্ট আমাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। আমি আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ। এই মামলায় আগামী দিনের রায় যা হবে, আমি মাথা পেতে নেব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে আগামী দিনের এলাকার উন্নয়ন নিয়েও দরবার করব।” রবিবার থেকে বিধানসভা এলাকার জমে থাকা উন্নয়নের কাজ শেষ করার নতুন করে পরিকল্পনা গ্রহণ করার আশ্বাসও দেন। জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha) আরও বলেন, “বড়ঞার বাসিন্দাদের পাশে থাকব।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। এই দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়া মিডলম্যানদের সঙ্গে বিধায়কের যোগাযোগ এবং আদানপ্রদানের অভিযোগে এই তল্লাশি। বড়ঞার আন্দি গ্রামে তাঁর বাড়িতে টানা ৭২ ঘণ্টা অভিযান চলাকালীন নিজের দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। পরে সন্ধে নাগাদ বাড়ির পিছন দিকের পুকুর ছেঁচে একটি মোবাইল উদ্ধার করেন বিশেষজ্ঞ তদন্তকারীরা। অপরটি তখনও পাওয়া যায়নি। সিবিআইয়ের দাবি, তথ্য লোপাট করতে মোবাইল পুকুরে ছুঁড়ে ফেলেছেন। ১৩ মাস জেলবন্দি থাকার পর সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান জীবনকৃষ্ণ। জামিন পাওয়ার পর গত শুক্রবার প্রথমবার বিধানসভায় যান বড়ঞার বিধায়ক। স্পিকারের অনুমতিতে উচ্চশিক্ষা এবং বিধায়ক সমন্বয় কমিটির বৈঠকেও যোগ দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.