Advertisement
Advertisement
Goyeshpur

দুর্নীতির অভিযোগে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দলেরই কাউন্সিলরদের! গয়েশপুরে কোন্দল শাসকদলে

দুর্নীতির সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরপ্রধান।

TMC councilors protest against Municipal chairperson in Goyeshpur
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:June 19, 2024 8:22 pm
  • Updated:June 19, 2024 8:22 pm  

সুবীর দাস, কল্যাণী: গয়েশপুর পুরসভার পুরপ্রধান সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে বসলেন ওই পুরসভারই প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান কৌশিক ঘোষ। বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপ্না অধিকারী এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুরজিৎ সরকারও। বিদ্রোহী পুরসদস্যদের অভিযোগ, পুরপ্রধান শহরে অবৈধভাবে মাটি কাটা, স্বজনপোষণ, পুরসভার টাকা নয়ছয়ের পাশাপাশি টেন্ডারে দুর্নীতিতেও যুক্ত। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরপ্রধান।

কল্যাণী (Kalyani) লাগোয়া এই পুরসভায় রয়েছে ১৮ টি ওয়ার্ড। পুরভোটে বিরোধীরা এই পুরসভায় একটি আসনও জিততে পারেনি। সবকটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের (TMC) প্রতিনিধি থাকলেও পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যেই নানা অভিযোগ আনছিলেন কাউন্সিলররা। তবে তা ছিল দলের অন্দরে। এবার প্রকাশ্যে পুরপ্রধানের পদত্যাগের দাবি তুলে ধরনায় বসলেন কাউন্সিলদের একাংশ। তাঁদের দাবি, পুরপিতার দুর্নীতি দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েও লাভ হয়নি। অবশেষে তাঁরা বিক্ষোভে বসেছেন।

Advertisement

প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান তথা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৌশিক ঘোষ বলেন, “চেয়ারম্যান পুরসভায় ব্যাপক দুর্নীতি করছেন। নিয়ম অনুযায়ী, এক লক্ষ টাকার উপর কাজ হলে ই-টেন্ডার ডাকতে হয়। তা না করেই নিজের পছন্দের লোককে কাজের বরাত দিচ্ছেন। অভিযোগ করতে গেলে আমাদের বিরুদ্ধেই টাকা তোলার অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। সরকারি জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন। সব পুরপ্রতিনিধিদের নিয়ে কাজ করছেন না। আমরা তাঁর পদত্যাগ চাই। যতক্ষণ না পদক্ষেপ করবে, ততক্ষণ এই বিক্ষোভ চলবে।” তার আরও অভিযোগ, পুরপিতা গয়েশপুর শহরের বাসিন্দা না হওয়ায় শহরবাসী প্রয়োজনের সময় তাঁকে পান না। 

[আরও পড়ুন: প্রেমের টানে ব্রাজিল থেকে নবদ্বীপে! পেলের দেশের বউমার আপ্যায়নে ব্যস্ত পরিবার]

নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে পুরপ্রধান সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যাঁরা ধরনায় বসেছেন, নিজের ওয়ার্ডের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ নেই। ১৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র দুজন কাউন্সিলর ধরনায় বসেছেন। যদি দুর্নীতি হত তাহলে বাকি কাউন্সিলরাও ধরনায় বসতেন। ওরা বসছে বসে থাকুক, আমার কিছু করার নেই। দলকে বিষয়টি জানাব।” পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “পুরসভার বড় প্রকল্প চলছে। সেই কাজ শেষ হলে শহরবাসী ২৪ ঘণ্টা জল পাবেন। সেখানে গিয়ে টাকা চাওয়া হচ্ছে। আমি সেই ঘটনা পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েছি।”

[আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু, CBI তদন্তের আর্জি নিয়ে হাই কোর্টে পরিবার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement