প্রতীকী ছবি
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: তৃণমূলের মহা সম্মেলনে ভূতুড়ে ভোটার শনাক্ত করা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই ভূতুড়ে ভোটারের তালিকা জমা দিতে তোড়জোড় শুরু করেছে দলের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন জেলায় চলছে সার্ভে। কয়েকদিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমায় ভুতুড়ে ভোটার তালিকা তৈরি করতে সাংগঠনিক স্তরে একটি বৈঠক করা হয়। যার এক সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই জেলা পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে বনগাঁ জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস দাবি করলেন, এখনও ৫০ শতাংশ সমীক্ষা করা হয়নি। তার আগেই দশ হাজারের বেশি ভুয়ো ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
বনগাঁ জেলা তৃণমূল সভাপতি জানান, “যে ভুয়ো ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে, সেখানে কেউ বাংলাদেশের নাগরিক থাকে কেউ বা অন্য বিধানসভা এলাকায় থাকেন। ইতিমধ্যেই আমরা এগুলো এসডিও বিডিওতে জমা করেছি। এই সংখ্যাটা শেষ কোথায় দাঁড়াবে এখনই বলা যাচ্ছে না।” তিনি আরও দাবি করেন, “ভোটার লিস্টে সিপিএম, বিজেপি এই অবৈধ নামগুলো ঢুকিয়ে রেখেছে। আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে তালিকা তৈরি করছি। এবং এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। বাগদা বিধানসভায় ইতিমধ্যে ৫ হাজারের বেশি ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বনগাঁ উত্তরে ৮০০-র বেশি এছাড়াও বনগাঁ দক্ষিণ ও স্বরূপনগর বিধানসভা প্রচুর সংখ্যক ভুয়ো ভোটার তালিকা তৈরি হয়েছে।”
জানুয়ারি মাসে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। বুথ লেভেল এজেন্ট ও বাকি সদস্যদের হাতে সেই তালিকা তুলে দিয়ে অঞ্চল ও পুরসভায় বুথ ধরে ধরে দায়িত্ব দিয়েছেন মন্ত্রী-বিধায়করা। যে যে ভোটারের নামে সন্দেহ হবে তাদের নিয়ে আলাদা তালিকা করে স্ক্রুটিনি হবে। ফোন করে, দরকারে ওই ঠিকানায় গিয়ে ভোটারের অস্তিত্ব যাচাই করে মেলাতে হবে তালিকা। যে বুথে যে কটা নামে সন্দেহ হবে তার তালিকা করে তুলে দিতে হবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে। ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে রাজ্যজুড়ে এই পদ্ধতিতে গ্রাউন্ড লেভেল স্ক্রুটিনির কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.