অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: কনকনে ঠান্ডায় ডুব দিচ্ছেন বাঁধের জলে। একটা দুটো নয়। দুই হাজারেরও বেশি। তাজ্জব হচ্ছেন? এমন আবার হয় নাকি? হ্যাঁ, এমনটাই হয়েছে বছরের প্রথম দিনে। ২০২৫ সালকে এভাবেই বরণ করলেন সদানন্দ দত্ত। আরও একটা উদ্দেশ্যও আছে। গিনেস বুকে নাম তুলতে চান বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের ওই বাসিন্দা।
বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষ্যে বহু মানুষ মেতে উঠেছিলেন বিভিন্ন জায়গায়। একাধিক ঘোরার জায়গায় মানুষের ঢল নেমেছিল বর্ষবরণের দিনে। বিষ্ণুপুরের শহর লাগোয়া লালবাঁধের সামনেও বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন। ওই ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন তারা। ২০২৫ সাল শুরু হল। বছরের প্রথম দিনেই ২০২৫ টি ডুব দিলেন সদানন্দ দত্ত। এদিন বেলা ১২ টার অনেক আগে থেকেই শয়ে শয়ে মানুষ ভিড় করেছিলেন লালবাঁধ এলাকায়।
বিষ্ণুপুরের বাহাদুরগঞ্জের বাসিন্দা সদানন্দ দত্ত ওই লালবাঁধের জলে ডুব দিতে শুরু করেন। লক্ষ্য ছিল ২০২৫টি ডুব। খানিক পর থেকে উপস্থিত সাধারণ মানুষজন তাঁকে উৎসাহিত করতেও শুরু করেন। না থেমেই পরপর ডুব দিতে থাকেন সদানন্দ দত্ত। ডুব গোনার জন্য উপস্থিত লোকজনও ছিলেন। ২০২৫টি ডুব শেষ করে মিনিট চল্লিশেক পর তিনি জল থেকে পারে উঠে আসেন।
গতকাল রাত থেকেই গায়ে জ্বর ছিল তাঁর। ওষুধ খেয়ে জ্বর কমিয়ে এদিন এই কর্মকাণ্ডে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি এই ডুব দেওয়ার ঘটনা ঘটাচ্ছেন বছর শুরুর দিনে। সালের সংখ্যা অনুসারে তিনি ডুব দেন। গত ১০ বছর ধরে তিনি এই কর্মকাণ্ড করে আসছেন। এবার ২০২৫ সাল উপলক্ষ্যে ২০২৫টি ডুব দিলেন। তাঁর লক্ষ্য গিনেস বুকে নাম তোলা। এর আগে বেশ কয়েক বার তিনি এজন্য চিঠি পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও প্রতিবার্তা আসেনি। এবারও তিনি কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে চিঠি পাঠাবেন। বছর ৩১ এর সদানন্দ পেশায় ব্যবসায়ী। সাঁতারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তিনি যুক্ত। তাঁর আশা এবার গিনেস বুকে নাম উঠবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.