জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠল অশোকনগরে। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতি-সহ খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক।
জানা গিয়েছে, গাইঘাটা থানা এলাকার পাট্টাবুকা গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ পালের ভাগ্নি অন্তরা পালের বিয়ে হয় অশোকনগর থানা এলাকার সেনডাঙার বাসিন্দা পলাশ পালের সঙ্গে। অন্তরাদেবী তিন-চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত ৬ তারিখে প্রচণ্ড পেটে ব্যথা নিয়ে তাঁকে ভর্তি করা হয় বনগাঁর নার্সিংহোমে। সেখানেই চিকিৎসক মলয়কৃষ্ণ সাহার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর।
ভর্তির পর থেকে দুদিন কেটে গেলেও কোনওরকম উন্নতি হয়নি দেখে পরিবার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ দিয়ে চিকিৎসা করানোর দাবি জানানো হয়। কিন্তু ওই চিকিৎসক মলয়কৃষ্ণ সাহা জানান, তিনি প্রয়োজনীয় যা যা করার করছেন। কিন্তু রোগীর ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বেগতিক বুঝে নার্সিংহোমের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় রোগীকে বনগাঁ হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে। অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে রোগীকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অন্তঃসত্ত্বা।
এর পরই মৃতের পরিবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বনগাঁ থানায়। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে মলয় সাহা বলেন, “পেটে মৃত সন্তান ছিল। আমি ওঁদের বাড়ির লোকজনদের বলেছিলাম। কিন্তু ওঁরা অপারেশন না করেই চিকিৎসা চেয়েছিলেন। আমি ওঁদের অন্যত্র নিয়ে যেতে বলেছিলাম। ওঁরা শোনেননি। তাই দুদিন রেখে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি।” তদন্ত নেমেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.