বাবুল হক, মালদহ: মালদহের তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাড়ির পাশে বসেই খুনের ছক কষা হয়েছিল! শনিবার এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তারের পর জেরা করে এই তথ্য মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। তাদের আজ আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, গত কয়েকদিন ধরে মালদহের ঝলঝলিয়ায় যেখানে বাড়ি মৃত দুলাল সরকারের, তার অদূরেই বাড়ি অন্যতম ধৃত অমিত রজকের। তবে তা নিজের বাড়ি নয়, কোনও আত্মীয়ের আস্তানায় থাকত অমিত। দিন কয়েক আগে পরিচিত কয়েকজনকে নিয়ে সে যাতায়াতও করেছিল। আর তাঁদের সঙ্গে বসেই দুলালবাবুকে খুনের পরিকল্পনা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
গত ২ জানুয়ারি, মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল ওরফে বাবলা সরকার তাঁর নিজের কারখানায় যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন। পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। দুষ্কৃতীদের চার রাউন্ড গুলিতে অবশেষে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ সুপারের গাফিলতিতে এমন এক হত্যাকাণ্ড ঘটে গেল বলে চরম ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই পুলিশ হত্যাকাণ্ডের কিনারা করতে তৎপর হয়। পরপর ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয় অমিত রজক ও অভিজিৎ ঘোষ। তাদের গ্রেপ্তার করেই নয়া তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।
সূত্রের খবর, ধৃতদের মধ্যে অমিতের বাড়ি ঝলঝলিয়া এলাকাতেই। জানা যাচ্ছে, দিদার মৃত্যুর পর থেকে অমিত সেখানে থাকে। দুলাল সরকার হত্যাকাণ্ডের দিন কয়েক আগে থেকেই বেশ কয়েকজন অমিতের ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন বলে দাবি প্রতিবেশীদের। কেউই তাঁদের চিনতেন না। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাতে বাইক চড়ে অমিতের বাড়িতে অপরিচিত যুবকরা রান্নাবান্না করত, খাওয়াদাওয়া হত। তবে তারা চেনা মুখ নয়। আর সেখানেই বসেই হত্যার ব্লু প্রিন্ট ছকা হয়েছে। সেইমতো চলে অপারেশন। যদিও বাকি ধৃতদের পুঙ্খানুপুঙ্খ জেরা করে তবেই এসব নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আর সেই কাজই করছে মালদহ জেলা পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.