ধৃত হামজা শেখ।
বাবুল হক, মালদহ: কালিয়াচক কাণ্ডের দেড়দিনের মাথায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত জাকির শেখ ঘনিষ্ঠ হামজা। গোটা ঘটনায় তাঁর ঠিক কী ভূমিকা ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে জেরা করলে একাধিক তথ্য মিলতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। এদিকে জাকির শেখ তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না বলেই দাবি জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সির। তাঁর কথায়, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা নয়।”
এক তৃণমূল নেতা হাসা শেখকে খুন ও অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তাল মালদহের কালিয়াচক। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, রাজনৈতিক কারণে এই ঘটনা। পরবর্তীতে উঠে আসে পুরনো শত্রুতা, ভাগ বাটোয়ারা সংক্রান্ত অশান্তির তত্ত্ব। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা বলে দাবি করেন বিরোধীরা। এই সব নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই মঙ্গলবার আটক করা হয় ১০ জনকে। বুধবার কালিয়াচক কাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম হামজা। ধৃত যুবক জাকির শেখের ঘনিষ্ঠ ও তৃণমূলেরই কর্মী বলে খবর।
এদিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি। তাঁর দাবি, জাকির কংগ্রেস করত। কোনওদিনই তৃণমূলের সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই। তাঁর যুক্তি, “জাকির দুষ্কৃতী হিসেবে এলাকায় পরিচিত, তাঁকে কেন দলে নেওয়া হবে?” এবিষয়ে এখনও কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। উল্লেখ্য, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখের (যাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে অভিযোগ) সঙ্গে জাকির শেখে শত্রুতা কমপক্ষে ১০ বছরের। নেপথ্যে, এলাকা দখল। একাধিকবার তা বিরাট আকারও নিয়েছে। পরবর্তীতে রাজনীতিতে যোগ দেন বকুল। দিন পনেরো আগে জাকির তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.