অশোকনগরে কিডনি পাচারচক্রে গ্রেপ্তার সুদখোর। ফাইল ছবি।
অর্ণব দাস, বারাসত: অশোকনগর থেকেই নতুন করে ৩ কিডনি দানের আবেদন। তাঁরা যাদের কিডনি দেবেন বলে জানিয়েছে, তাঁদের একজন উত্তরপাড়া, একজন পূর্ব মেদিনীপুর, আরেকজন আবার মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা বলেই সূত্রের খবর। ভিনজেলা বিশেষ করে ভিনরাজ্যের গ্রহীতাকে ফের অশোকনগরের বাসিন্দার কিডনি দিতে চাওয়ার আবেদন ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
গোটা ঘটনায় পুলিশের ভাবনা, গ্রেপ্তারির আগেই ধৃত বিকাশ ঘোষ ওরফে শীতলের সুদের চাপেই বাধ্য হয়ে এদের মধ্যে কেউ কিডনি দিতে রাজি হয়নি তো? তাই পুলিশ এখন শীতলের মত সুদখোরদের হয়ে যারা কাজ করত, তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করেছে। ধৃত শীতল ও চক্রের পাণ্ডা গুরুপদ জানা ওরফে অমিতের সঙ্গে পুলিশ জেলার আর কোনও সুদখোরদের যোগাযোগ ছিল কি না তা জানতেও নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। অশোকনগর ছাড়াও হাবড়া, মধ্যমগ্রাম এবং বারাসতের একাধিক বাসিন্দা বিগত কয়েক বছরে কিডনি দানের আবেদন করেছিল। তাদের সঙ্গেও অমিতের যোগাযোগ হয়েছিল কিনা, যদি থেকে থাকে তাহলে সুদখোরদের মাধ্যমেই তারা জালে ফেঁসেছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
এক্ষেত্রে প্রতিটি থানা এলাকায় জেলা পুলিশ কর্তারা ইতিমধ্যেই নিজস্ব সোর্স ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহের কাজও শুরু করে দিয়েছে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, রাজ্যে এর আগে ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে কিডনি বিক্রির তিনটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই সময় চক্রের সঙ্গে যুক্ত প্রভাবশালীরা আইনের ফাঁকে গলে বেরিয়ে গিয়েছিল। তাই, আটঘাট বেঁধে এবারে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বিশেষ করে নেফ্রোলজিস্ট, নামি বেসরকারি হাসপাতাল ও নেফ্রোসেন্টার গুলির জন্য আইনের সুক্ষ জালও বুঁনতে শুরু করেছেন দুঁদে জেলা পুলিশ কর্তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.