প্রতীকী ছবি
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: হাড়হিম করা ঘটনা। নিজের আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে খুন করল মা। নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের ইদরাবাদ এলাকায়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কী কারণে এই কাজ করলেন ওই মা?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রাবন্তী হাজরা ও বিধান হাজরা বেশ কয়েক বছর আগে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন। ওই দম্পতির একটি আড়াই বছরের শিশুকন্যাও ছিল। ওই দপ্ততির আসল বাড়ি বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার মামুদপুরে। কর্মসূত্রের জন্য তাঁরা এখন বর্ধমান শহরের ইদরাবাদ এলাকায় থাকেন। মেয়ে বর্ষণার সঙ্গে গতকাল রাতে ঘরে শুয়েছিলেন শ্রাবন্তী হাজরা। পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন বিধান।
গভীর রাতে ওই একরত্তির দুহাতের শিরা কেটে ফেলেন শ্রাবন্তী। মেয়ের মাথার পিছনের অংশেও ধারালো অস্ত্র চালান। এরপর নিজের হাতের শিরাও কাটেন ওই মা। এরপর পাশের ঘরে গিয়ে স্বামীকে ঘুম থেকে তোলেন। ঘটনার কথা জানান স্ত্রী। আতঙ্কিত বিধান প্রতিবেশীদের ডেকে তোলেন। দ্রুত মা-মেয়েকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই মহিলা গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওই দম্পতির মধ্যে তেমন কোনও বিবাদ অশান্তিও ছিল না। ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে বাবা-মায়ের সুখের সংসার ছিল বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। তাহলে কেন এমন ঘটনা? তাই নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শ্রাবন্তীর দীর্ঘ সময় ধরে স্নায়ুর রোগের চিকিৎসা চলছে। সেই থেকেই কি এমন ঘটনা তিনি ঘটালেন? ওই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। তাতে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির কাউকেই দোষ দেওয়া হয়নি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জেরার জন্য ওই মহিলার স্বামী বিধানকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.