অর্ণব দাস, বারাসত: বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান কার্যত ‘ফ্লপ’। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় দলের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। তারই মাঝে নয়া তত্ত্ব দিলেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। সদস্যপদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে না পারার প্রসঙ্গে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য বলেন, “টার্গেট একটু বেশি করেই দেওয়া হয়। আমরা ১২ বললে হয় ১০। আসলে ১০-ই টার্গেট।”
গত ২৭ অক্টোবর সল্টলেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে সদস্যপদ অভিযানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী। ঠিক হয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ কোটি সদস্যপদ সংগ্রহ করবে বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু শেষ তারিখের দিনদশেক আগেও ‘পাশ মার্ক’ ৩৪ শতাংশ ছুঁতে পারেনি গেরুয়া শিবির। বিজেপি সূত্রে খবর, তাদের সদস্য সংগ্রহের সংখ্যা ২৭ লক্ষের কিছু বেশি। তাই শেষ মুহূর্তে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের উপর শুধুমাত্র ভরসা না রেখে ‘সুপারস্টার অভিনেতা’র জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে শনিবার থেকে সদস্যপদ সংগ্রহে নেমেছেন মিঠুন চক্রবর্তী।
প্রথম দিন হুগলিতে আশানুরূপ সদস্যপদ সংগ্রহ না হওয়া নিয়ে অসন্তোষ শোনা গিয়েছিল অভিনেতার গলায়। গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তারপর রবিবার টিটাগড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে খানিকটা ধরেই ব্যাট চালান মহাগুরু। তাঁর মতে, “নিজেদের কিছু ভুল-ত্রুটি আছে। সেগুলো ঠিক করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “টার্গেট একটু বেশি করেই দেওয়া হয়। আমরা ১২ বললে হয় ১০। আসলে ১০-ই টার্গেট।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মিঠুনের কথাতেই স্পষ্ট যে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে একেবারেই লাভ পায়নি গেরুয়া শিবির। যদিও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা সরাসরি মানতে নারাজ। তাঁদের মতে, বাংলায় সংগঠন মজবুত করার জন্য দলের পক্ষ থেকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল এবং তার ফলস্বরূপই মানুষের মধ্যে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঢল নেমেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.