ছবি: সংগৃহীত।
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: পর পর দুই মেয়ে। পুত্র সন্তান না হওয়ায় নেশা করে স্ত্রীর উপর চলত অত্যাচার! বৃহস্পতিবার সকালে টাকা নিয়ে ঝামেলা চরমে পৌঁছলে স্ত্রীকে কোপানোর অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। অত্যাচারের হাত থেকে বাদ যায়নি ছোট মেয়েও! চিকিৎসার পর পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা। বনগাঁ (Bangaon) থানার কালুপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
কয়েক বছর আগে চারঘাটের বাসিন্দা পূর্ণিমা মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় অরবিন্দ মণ্ডলের। দম্পতির দুই মেয়ে রয়েছে। মহিলার অভিযোগ, ছেলে সন্তান না হওয়ায় তাঁর উপর অত্যাচার করত স্বামী। দ্বিতীয়বার কন্যা সন্তান হওয়ায় অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়ে। অভিযোগ, প্রতিদিনই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে তাঁর উপর চলত শারীরিক নির্যাতন। এমনকী তাঁদের ছোট মেয়েকেও মারধর করা হত বলে অভিযোগ। শাশুড়িকে সেই কথা জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি পূর্ণিমার। অরবিন্দ নেশার দ্রব্য বিক্রি করেন বলেও জানান স্ত্রী। সে কারণে প্রতিবেশীরা থানার অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি।
পূর্ণিমা বলেন, “আমার দুটি মেয়ে রয়েছে। ছেলে হয়নি কেন তাই নিয়ে গালিগালাজ ও অত্যাচার করে স্বামী। বাবার বাড়ি থেকে দেওয়া কিছু টাকা গচ্ছিত রেখেছিলাম। সেই টাকা দিতে আপত্তি করায় হাতে কাঁচি দিয়ে কোপ মারে। আমাকে ও ছোট মেয়েকে মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দেয়। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।” বর্তমানে বাপের বাড়ি চারঘাটে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে অরবিন্দের দাবি, সমস্যা মিটে গিয়েছে। দুই পরিবারের সদস্যরা কথা বলেছেন। স্ত্রী ও মেয়েদের ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.