Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mamata Banerjee

OBC সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশে মুখ খুললেন মমতা, কী বললেন?

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ২০১০ সাল পরবর্তী রাজ্য সরকারের দেওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল। রায় নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার খড়দহের নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ থেকে সাফ জানান, "রায় আমি মানি না।"

Lok Sabha 2024: Mamata Banerjee reacts on OBC certificate cancellation
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 22, 2024 4:17 pm
  • Updated:May 22, 2024 6:26 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ২০১০ সাল পরবর্তী রাজ্য সরকারের দেওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল। রায় নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee)। বুধবার খড়দহের নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ থেকে সাফ জানান, “রায় আমি মানি না।”

মমতা বলেন, “কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন তফসিলিদের রিজার্ভেশন কেড়ে নেবে। এটা কখনও হতে পারে? তাহলে সংবিধান ভেঙে দিতে হয়। আজ শুনলাম কাউকে দিয়ে একটা অর্ডার করিয়েছে। যদিও তার রায় আমি মানি না। যেমন ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিল। আমি বলেছিলাম ওদের রায় আমরা মানি না। তেমনই বলছে আজকে। যে-ই রায় দিয়ে থাকুন। বিজেপির রায় এটা। আমরা মানি না। ওবিসি রিজার্ভেশন চলছে, চলবে। সাহস কত বড়! কোর্টে কখনও ভাগাভাগি হয় না। দেশে কখনও ভাগাভাগি হয় না। এটা কলঙ্কিত অধ্যায়। কেউ বলতে পারে আমি হিন্দুকে বাদ দিলাম, মুসলমানকে রাখলাম। কেউ বলতে পারে হিন্দুকে রাখলাম, মুসলমানকে বাদ দিলাম। আমি করিনি। এটা উপেন বিশ্বাস করেছিলেন। উনি চেয়ারম্যান ছিলেন। বাড়ি বাড়ি সার্ভে করে হয়েছে। ২০১২ থেকে চলছে। স্পর্ধা তো কম নয়। একটা সরকারের পলিসি নিয়ে কথা বলছে। বিজেপির পলিসি নিয়ে একটা কথা বলার হিম্মত আছে? আবার বলে রাখি, এটা ক্যাবিনেট করে পাশ হয়েছে। বিধানসভায় পাশ হয়েছে। আদালতের রায় আছে।”

Advertisement

এর পর সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মমতা আরও বলেন, “যারা ভোটের আগে এসব নিয়ে খেলা করছে। সন্দেশখালি নিয়ে করলেন। চক্রান্ত ফাঁস হয়ে গেল। দাঙ্গা নিয়ে করলেন। সেই চক্রান্তও ফাঁস হয়ে গেল। এখনও হিন্দু-মুসলমানে ভাগ করার কথা মাথায় ঘুরছে। এটা সাংবিধানিক অধিকার। ওবিসিদের সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে থেকে রিজার্ভেশন করা হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: ‘স্বামী প্রণবানন্দ না থাকলে বাংলাদেশে মিশে যেত বাংলা’, মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব শাহের]

উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১০ সালের আগের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। তবে ২০১০ পরবর্তী অর্থাৎ ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যের দেওয়া সমস্ত সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে বাতিল ৫ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র। ডিভিশন বেঞ্চের দাবি, ২০১০ সাল পরবর্তী ওবিসি সার্টিফিকেট বৈধ নিয়ম মেনে ইস্যু করা হয়নি। তাই শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ।

এই শংসাপত্র কাজে লাগিয়ে অনেকেই চাকরি পেয়েছেন। তবে শংসাপত্র বাতিলের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও প্রভাব পড়বে না। বহাল থাকবে চাকরি। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন অ্যাক্ট ১৯৯৩ অনুযায়ী ওবিসিদের নতুন তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই তালিকা বিধানসভায় পেশ করে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে। তবে ২০১০ সালের আগে যে যে গোষ্ঠীগুলিকে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলি বৈধ থাকছে বলেই জানায় হাই কোর্ট। এই রায়ের বিরোধিতায় সরব মমতা।

[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের বুকে বিজেপির ‘পদ্ম’, ছবি প্রকাশ্যে এনে ইস্তফার দাবি তৃণমূলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement