সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: এ শহর রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শহর। তাঁর নামেই শহরের নাম। রাজপরিবারের প্রতি এখনও আলাদা টান রয়েছে কৃষ্ণনগরবাসীর। সেই আবেগকে এবার ভোটবাক্সে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী মহুয়া মৈত্রের (Mohua Moitra) বিরুদ্ধে সম্ভবত কৃষ্ণনগরের রাজমাতাকে প্রার্থী করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। কথাবার্তা চূড়ান্ত। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি। নদিয়ার সদর শহরে অন্তত তেমনই গুঞ্জন।
বিজেপি (BJP) সূত্রের দাবি, রাজমাতা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করার বিষয়ে জেলা নেতৃত্বই প্রথম আগ্রহ প্রকাশ করে। তার পর দলের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সূত্রের দাবি, বেশ কয়েক দফা কথাবার্তার পর প্রার্থী হতে রাজি হয়েছেন রাজবধূ অমৃতা। লোকসভার (Lok Sabha 2024) প্রার্থী হওয়ার জল্পনার মধ্যে সোমবারই কৃষ্ণনগরে ফেরেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে পূজোও দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে দলের তরফে নাম ঘোষণা হলেই সরকারিভাবে প্রচারে নেমে পড়বেন রাজমাতা। আসলে কৃষ্ণনগর আসনটিকে বিজেপি ‘সম্ভাবনাময়’ আসন হিসাবে চিহ্নিত করেছে। সেকারণেই ওই কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী খুঁজছিল গেরুয়া শিবির।
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর মতো দাপুটে এবং লড়াকু নেত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে হেভিওয়েট কাউকেই প্রার্থী চাইছিল বিজেপি। নাম ভাসছিল প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে জলুবাবুর ছেলে সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের। ঝুলন গোস্বামী, সোমা বিশ্বাসের মতো জাতীয় স্তরের ক্রীড়াবিদের নামও শোনা যাচ্ছিল। তবে এরা কেউই প্রার্থী হিসাবে মহুয়ার বিরুদ্ধে লড়তে রাজি হননি। অগত্যা মহাদেব সরকার, রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো স্থানীয় নেতাদের নামও আলোচনায় আসে। তবে জেলা নেতৃত্ব হেভিওয়েট কাউকেই চাইছিল। সেকারণেই অমৃতা রায়ের নাম ভাবা। তিনি রাজিও হয়েছেন।
এটাই কৃষ্ণনগরের রাজমাতার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। তাঁর মনে হয়েছে এ বাংলা সবদিক থেকেই পিছিয়ে রয়েছে। বাংলাকে দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই তাঁর রাজনীতিতে আগমন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন রানিমা। প্রার্থী হওয়া নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “বিজেপির সঙ্গে প্রার্থী হওয়া নিয়ে কথাবার্তা চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে সেটা আগামী দিন বলবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.