ধীমান রায়, কাটোয়া: আইসক্রিম কিনে দেওয়ার টোপ দিয়ে সাত বছরের নাবালিকাকে দিনের পর যৌন হেনস্তা! অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তার করল কাটোয়া থানার পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা এলাকায়। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব সকলে।
জানা গিয়েছে, দিনমজুর পরিবারের সন্তান ওই নাবালিকা। বাবা বাইরে কাজ করেন। বাড়িতে রয়েছেন মা, ঠাকুমা। দুই ভাই, এক বোন ওই নাবালিকারা। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় অভিযুক্ত ভোম্বল মাজি ওরফে সনতের (৬০) বাড়িতে যাতায়াত ছিল নাবালিকার। ভোম্বল ওই নাবালিকার দূরসম্পর্কের পিসেমশাই। ওই বৃদ্ধের স্ত্রী কাটোয়া শহরে পরিচারিকার কাজ করেন। বাড়িতে পুত্র ও পুত্রবধূ নাতি রয়েছে। কিন্তু ছেলে সপরিবারে কয়েকদিন আগে বেড়াতে গিয়েছেন। বাড়িতে একাই ছিল অভিযুক্ত। নির্যাতিতার ঠাকুমার অভিযোগ, গত তিনদিন ধরেই দুপুরের দিকে শিশুটিকে আইসক্রিম কিনে দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাচ্ছিল ভোম্বল। তখন বাড়িতে সে ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে ওই নাবালিকা যখন ভোম্বলের বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল তখন কয়েকজন দেখেন বাচ্ছাটির চোখেমুখে আতঙ্ক।
জানাজানি হতেই মা ও ঠাকুমা নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। শেষে শিশুটি ঘটনার কথা খুলে বলে। শিশুটি জানায়, আইসক্রিম দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমনকি শিশুটিকে হুমকি দেওয়া হয়, এসব কথা বাড়িতে জানালে খুন করে দেহ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দিয়ে আসা হবে। শিশুটির মুখ থেকে ঘটনার কথা শুনেই তাকে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুক্রবার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.