সুবীর দাস, কল্যাণী: শীতের নিঝুম দুপুর। হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কল্যাণীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলা। বাজি কারখানায় ঝলসে যান কর্মরত ৪ শ্রমিক। গুরুতর আহত আরও ১। ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে কারখানার মালিক সাধন বিশ্বাস ওরফে খোকনকে। শনিবার তাঁর ৭দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে এই প্রথম নয় আগেও একবার পুলিশ পাকড়াও করেছিল তাঁকে। পরে ছাড়া পান তিনি। ফের শুরু করেন বাজির ব্যবসা। কিন্তু কী করে উঠছে সেই প্রশ্ন।
কতদিন ধরে ব্যবসা চালাচ্ছেন খোকন? কম করে ১০-১২ বছর। কেউ কেউ বলছেন ১৫ বছর। কিন্তু কী করে চলে এই ব্যবসা? লাইসেন্স পাওয়া যায় কী করে? জানা যাচ্ছে, অল্প পরিমাণে বাজি ও সামগ্রি রাখার জন্য জেলাশাসকের থেকে অনুমতি নিতে হয়। পরিমাণ বাড়লে ধাপে, ধাপে তা উচ্চ পর্যায়ের অনুমতি লাগে। তারপরও নিয়ম রয়েছে কারখানা লোকালয় থেকে দূরে হতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে শহরের মধ্যেই ছিল কারখানা। শ্রমিকরাও বা ঝুঁকি নিয়ে কেন করেন এই কাজ? অন্য কাজের থেকে মজুরি তুলনামূলক বেশি, শারীরিক খাটনিও কম। সর্বোপরি প্রাণের চিন্তাই করেন না কেউই।
ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নবান্ন। রিপোর্ট দেবে রানাঘাট পুলিশ জেলাও। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.