Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাবুল

রাতারাতি পদ্ম হল ঘাসফুল! বাবুলের উদ্বোধন করা কার্যালয়ে নতুন করে ফিতে কাটলেন জিতেন্দ্র

এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা।

Jitendra tiwari reopened a party office few days back which is opened by babul supriya
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:January 25, 2020 8:35 pm
  • Updated:January 25, 2020 8:40 pm

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধান। আর তাতেই পদ্মফুল বদলে গেল ঘাসফুলে। গেরুয়া রঙের দলীয় কার্যালয় বদলে গেল সবুজে। গত ২৩ আগস্ট রানিগঞ্জে গিয়ে সাংসদ তথা মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেছিলেন। শনিবার বিজেপির সেই কার্যালয় বদলে গেল তৃণমূলের কার্যালয়ে। উদ্বোধন করলেন মেয়র তথা টিএমসি জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও জেলা দলীয় পর্যবেক্ষক কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরি। শুধু তাই নয় এদিন ২৬৩ জন বিজেপি কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রানিগঞ্জের আমরাসোতায়।

দলের এই কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় আশ্বাস দিয়েছিলেন এখানকার উন্নতি হবে। রাস্তার কাজ করা হবে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে জেতার পরে সাংসদ তাঁর প্রতিশ্রুতি মতো সেই কাজ করেননি। এমনই অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই কথা যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছয়, তখন তিনি এই রাস্তার জন্য ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুমোদন করেন। সেই টাকায় রাস্তার কাজও শুরু হয়ে গেছে। আমরা বলেছিলাম, যখন রাস্তার কাজ শুরু করা হবে, তারপরই এখানে বৈঠক করব।

Advertisement
babul
২৩ আগষ্ট ফিতে কেটে কার্যালয়ের উদ্বোধন করছেন বাবুল সুপ্রিয়।

[আরও পড়ুন: ‘প্রথমে ঘুমপাড়ানি গুলি, কাজ না হলে চিরতরে ঘুম পাড়ান’, বিস্ফোরক বিজেপি নেতা]

মেয়র এদিন বলেন, “যারা এখানে বিজেপি কার্যালয় করেছিল, তাঁরা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে আমাদের দলে এসেছে। তাঁরাই বলেছে, এই ঘরেই তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় হবে। সেই মতো এদিন কার্যালয়ের উদ্বোধন হল।” তবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব হাজরা বলেন, “ওই দলীয় কার্যালয়টি দখল করেছে তৃণমূল। গত ২২ তারিখ রাতে কার্যালয়টি দখল করে গেরুয়া রং মুছে সবুজ করে দেওয়া হয়। আমরা রানিগঞ্জ থানায় ওইদিন লিখিত অভিযোগও জানিয়েছি।” তাঁর অভিযোগ, “কোনও উন্নয়ন নয়, আমাদের পার্টির দু’একজনকে ভয় দেখিয়ে দলে টানা হয়েছে। নাটক করে দেখানো হচ্ছে স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান। আসলে গোটাটাই ভাঁওতা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সব জানেন।” তবে বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। আমরাসোতার বাসিন্দা বিমল মণ্ডল বলেন, “এই ঘরটি আমার। আমরা স্থানীয়রা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পেয়ে বিজেপিকে দলীয় কার্যালয় তৈরি করতে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সেই মোহভঙ্গ হয়েছে।” সবমিলিয়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ