Advertisement
Advertisement

Breaking News

Darjeeling

মহাকুম্ভের টানে বেসামাল পর্যটন! বুকিং না থাকায় দুশ্চিন্তায় দার্জিলিং, ডুয়ার্সের হোটেল মালিকরা

হোলির দিকে তাকিয়ে সিকিম, দার্জিলিং, ডুয়ার্স।

Hotel owners in Darjeeling, Duars worried due to lack of bookings

প্রতীকী ছবি

Published by: Suhrid Das
  • Posted:February 21, 2025 1:47 pm
  • Updated:February 21, 2025 1:55 pm  

স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: মহাকুম্ভ মেলায় গিয়ে তিন নদীর সঙ্গম স্থলে স্নান করে ‘মোক্ষ’ লাভের টানে বেসামাল দার্জিলিং ও সিকিমের পর্যটন। বেশিরভাগ পর্যটকের গন্তব্য তিন নদীর সঙ্গমে শাহি স্নান। এমনই কুম্ভ-টানে সিকিমে তুষারপাতের ঘনঘটা বেমালুম ভুলেছেন ভ্রমণ রসিকরা। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেও হোটেল, রিসর্টে বুকিংয়ে সাড়া নেই। একই পরিস্থিতি ডুয়ার্সের। সুদিন ফেরার আশায় নিরুপায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা এখন তাকিয়ে হোলির দিকে।

পরপর মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, তারপরও কুম্ভযাত্রায় এতটুকু ভাটার টান নেই। উলটে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন অথবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সিকিম কিংবা দার্জিলিংয়ে যাওয়ার ছোট গাড়ি মিলছে না। কারণ, বেশিরভাগের গন্তব্য হয়েছে মহাকুম্ভ। ছোট গাড়ি চালকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচশো গাড়ি উত্তরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পূণ্যার্থীদের নিয়ে কুম্ভে যাচ্ছে। একদিকে যেমন ১৯ জানুয়ারি কুম্ভ মেলার শুরু থেকে দার্জিলিং অথবা সিকিম ভ্রমণের গাড়ির সংখ্যা কমেছে। অন্যদিকে পর্যটক সংখ্যাও উদ্বেগজনক হারে কমেছে। শুধু তাই নয়। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেও হোটেল, হোম স্টে, রিসর্ট অগ্রিম বুকিংয়েও সাড়া মিলছে না।

রাজ্য ইকো ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, “সিকিম, দার্জিলিং কোথাও অগ্রিম বুকিং নেই। প্রত্যেকে দিশাহারার মতো মহাকুম্ভে ছুটছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে ভাড়া গাড়ি মিলছে না।” তিনি আরও জানান, সাধারণত এই সময় কলকাতা ও ভিন রাজ্যের পর্যটকরা পাহাড়ের বেড়াতে আসার জন্য হোটেল অথবা হোমস্টের রুম অগ্রিম বুকিং করেন। তাঁদের সাড়া মিলছে না। দার্জিলিং হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজয় খান্না বলেন, “আমরা এসময় মার্চ মাসের জন্য দিল্লি, মুম্বই, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, বিহারের পর্যটকদের অগ্রিম বুকিংয়ের জন্য ফোন পেয়ে থাকি। এবার সেটা নেই বললে চলে।” দার্জিলিং হোটেল অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং পাহাড়ে সাড়ে তিনশো হোটেল রয়েছে। কালিম্পংয়ে দুশো। প্রতিটি হোটেল কার্যত ফাঁকা। হাতে গোনা কিছু পর্যটক পাহাড়ে আছেন।

দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে দুই হাজারের বেশি হোম-স্টে রয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হতে অনেকটা হোটেলের মতো ওই হোমস্টেগুলোতেও ঠাই নেই দশা হয়। এবার কী হবে, কেউ বুঝতে পারছেন না। সেখানেও শঙ্কার মেঘ। এদিকে ডুয়ার্সেও একই ছবি। সেখানেও রিসর্টগুলোতে বুকিং নেই। যদিও লাটাগুড়ি রিসর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দীব্যেন্দু দে’র আশা, ২৬ ফেব্রুয়ারি কুম্ভমেলা শেষ হলে বুকিংয়ে সাড়া মিলবে। তিনি বলেন, “হোলি থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। এখন সেটাই ভরসা।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub