দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: জয়নগর কাণ্ডে তোলপাড় বাংলা। প্রতিবাদে সোচ্চার সবমহল। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল শুক্রবার বিকেলে? রোজের মতোই তো টিউশন থেকে ফিরছিল নাবালিকা। তার পর? সেই সময়ের কথা জানাল মৃতার বান্ধবী।
মৃত নাবালিকা প্রতিদিন এক বান্ধবীর সঙ্গে ফিরত। শুক্রবারও একসঙ্গেই পড়ে বের হয় তারা। তার পর ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। ওই নাবালিকা জানিয়েছে বান্ধবীর সঙ্গে শেষবারের মতো একসঙ্গে ফেরার স্মৃতি। সে জানায়, শুক্রবার বিকেলে একসঙ্গে অঙ্ক পড়তে গিয়েছিল তারা। বেরতে খানিকটা দেরি হয়ে যায়। একসঙ্গেই বের হয় তারা। মাঝরাস্তায় নাকি একজনের সঙ্গে দেখা হয়। এর পরই নির্যাতিতা তাকে জানায়, সে সাইকেলে বাড়ি ফিরবে। বাড়ির পথে এগিয়ে যায় সে। সন্ধে গড়িয়ে রাত হয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি ফেরেনি সে। তাতেই দুশ্চিন্তা করতে শুরু করেন বাড়ির লোকজন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের থেকে নিখোঁজ অভিযোগ নিতে কার্যত অস্বীকার করে পুলিশ। এর পর থানা থেকে ফিরে আসেন ছাত্রীর বাবা। গভীর রাতে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি জলাজমি থেকে ছাত্রীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়।
প্রসঙ্গত, জয়নগরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন-খুনের ঘটনা ঘিরে শনিবারই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। মৃতার ময়নাতদন্ত ঘিরে জটিলতা দেখা দেয়। নিরপেক্ষতার স্বার্থে রাজ্যের কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্তে রাজি ছিল না পরিবার। তাই কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের আবেদন জানিয়ে রবিবারই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। দ্রুত শুনানির আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিকেলে শুনানিতে তিনি পরিবারের আবেদন গ্রহণ করে নির্দেশ দেন, কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করবেন এইমসের চিকিৎসকরা। এদিকে এদিনই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ছাত্র পরিষদের নেতারা। আশ্বাস দেন পাশে থাকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.