আগুন নেভাতে ব্যস্ত দমকলকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: আলমপুরের থার্মোকল কারখানায় বিধ্বংসী আগুন। সেই আগুনে ঝলসে মারা গেলেন কারখানারই এক কর্মী। মৃতের নাম আকাশ হাজরা। ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কীভাবে আগুন লাগল? সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন পুলিশ ও দমকলকর্মীরা।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, আলমপুর মোড়ের কাছেই ওই থার্মোকলের বিশাল কারখানা রয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও কারখানায় কাজ চলছিল। দুপুর তিনটের পর কারখানার ভিতরে আগুন দেখতে পাওয়া যায়। দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ক্রমে লেলিহান শিখা ভয়াবহ আকার নেয়। কর্মরত কর্মীরা দ্রুত কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। খবর যায় সাঁকরাইল থানায়। দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। দমকলের ছটি ইঞ্জিন সেখানে আগুন নেভানোর কাজ চালায়। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন খানিক নিয়ন্ত্রণে আসে।
এরপর দমকলকর্মীরা কারখানার ভিতর ঢোকেন। ভিতর থেকে এক শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আগুনে পুড়েই ওই মৃত্যু বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ ও দমকল। মৃত ব্যক্তির নাম আকাশ হাজরা। আর কেউ কারখানার মধ্যে আটকে আছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। থার্মোকলের কারখানা বলেই ভিতরে বিপুল পরিমাণ দাহ্যবস্তু মজুত থাকতে পারে। তেমনই প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন পুলিশ ও দমকলকর্মীরা। বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বিভিন্ন জায়গায় পকেট ফায়ার তখনও দেখতে পাওয়া যায়। আগুনের বীভৎসতা এতটাই বেশি ছিল যে গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বহু দূর থেকেও সেই লেলিহান শিখা দেখা গিয়েছে বলে খবর।
কিন্তু কীভাবে সেই আগুন লাগল? শর্টসার্কিট থেকে কি ওই আগুন লেগেছে? নাকি ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে ? সেই বিষয় খতিয়ে দেখা হবে বলে দমকল সূত্রে খবর। কারখানায় কি নিরাপত্তার সব দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে? অগ্নি নির্বাপণের জন্যও কারখানা কর্তৃপক্ষ কী কী ব্যবস্থা রেখেছিল? সেসব তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.