সুমন করাতি, হুগলি: রাতের পানাগড়ে জাতীয় সড়কের উপর গাড়ি দুর্ঘটনায় চন্দননগরের নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর তদন্ত চলছে। তারই মাঝে এবার ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে সম্পূর্ণ ‘ইউ টার্ন’ নিলেন তাঁর গাড়িচালক! এখন তাঁর দাবি, ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটেনি, বরং ‘ম্যাডাম’ই নাকি সাদা গাড়িকে তাড়া করতে বলেন। তাঁর কথামতো গাড়ির পিছু নেন চালক। সাদা গাড়ি থেকে কেউ তাঁদের গাড়িতে থাকা কাউকে কোনও কটূক্তি করেনি বলেই দাবি। আর চালক রাজদেও শর্মার ওই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দেওয়া ভিন্ন বয়ানে বিভ্রান্ত তদন্তকারীরা। ঘটনা তাহলে ঠিক কী ঘটেছিল, জানতে মরিয়া তাঁরা।
রবিবার রাতে বর্ধমানের পানাগড়ে গাড়ি উলটে প্রাণ হারান নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের। ঘটনায় দুই গাড়ির রেষারেষির সঙ্গে সঙ্গে উঠেছিল ইভটিজিংয়ের অভিযোগও। ঘটনার পাঁচদিন পর আচমকা বয়ান বদলে দিলেন চালক রাজদেও শর্মার। তাঁর দাবি, ঘটনার দিন কোনও ইভটিজিং হতে তিনি দেখেননি। রাজদেও শর্মার কথায়, ‘‘ইভটিজিংয়ের অভিযোগ আমি করিনি। আমি সেদিনও বলিনি, আজও বলছি না। পিছনে যাঁরা ছিলেন, ওরা হয়তো কিছু অভিযোগ করেছিলেন। ওদের নজরে হয়তো কিছু পড়েছিল। কিন্তু আমি কিছু দেখিনি। ওদের ড্রাইভার বারবার আমাদের দিকে তাকাচ্ছিল। তবে আমাদের গাড়ির কাচ তোলা ছিল। ওদেরও গাড়ির কাচ তোলা ছিল। কোনও গালিগালাজ শোনা যায়নি। যেটা আমি শুনিনি সেটা কেন বলব?’’ যদিও পুলিশ প্রথম দিনই সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট করেছিল, কটূক্তি বা ইভটিজিংয়ের কোনও অভিযোগ তাঁরা পাননি।
এখানেই শেষ নয়, গাড়িচালক রাজদেও শর্মার আরও দাবি, মৃতা সুতন্দ্রার কথাতেই তিনি গাড়ির গতিবেগ বাড়িয়েছিলেন এবং বাবলু যাদবদের গাড়িকে ধাওয়া করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘সেদিন পেট্রল পাম্প থেকে বেরনোর পরই সাদা এসইউভি সমানে আমাদের গাড়ির সামনে আগু-পিছু করছিল। একসময় মেন রোডের উপর তিয়োগো গাড়িটাকে ডানদিকে চেপে দেয় সাদা এসসিউভি গাড়ি। তাতে গাড়িটির ডানদিকটা ডিভাইডারে ঘষে যায়। এরপরই ম্যাডাম (সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়) সাদা গাড়িটাকে থামানোর কথা বলেন। ওরা না থামলে গাড়িটাকে ধাওয়া করতে বলেন সুতন্দ্রা ম্যাডাম।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.